সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার শ্বাস রোধ করেছে : অ্যামনেস্টি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের রক্ষা বা সশস্ত্র যে সংগঠনগুলো তাদের হুমকি দিচ্ছে তাদের দায়ী করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি, দমনমূলক কৌশল ও নতুন নতুন আইন দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার শ্বাস রোধ করেছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
‘ভয় ও দমনের বেড়াজালে : বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সেক্যুলার ব্লগারদের ওপর হামলা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। গত চার বছরে মাত্র একটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে অ্যাক্টিভিস্টরা নিয়মিত মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন। প্রাণভয়ে তাঁদের কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরজুড়ে প্রকাশ্য বিতর্ক ও সমালোচনার ওপর দমন-পীড়ন জোরদার করেছে সরকার। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি, তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে।
বাংলাদেশে হামলার শিকার অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সরকার দোষারোপ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ঢাকায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নাজিমুদ্দিন সামাদকে। সরকার এই হত্যার দায় চাপায় সামাদের ওপর।
নাজিম হত্যার পর অর্থমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, তাঁর (সামাদ) লেখায় ‘আপত্তিকর’ বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেক্যুলার লেখকদের লেখালেখিকে ‘নোংরা শব্দ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।





মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবো : প্রধানমন্ত্রী


রোহিঙ্গা গ্রাম পোড়ানোর নতুন প্রমাণ অ্যামনেস্টির হাতে
প্রয়োজন হলে, খাবার ভাগ করে খাব : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পুলিশকে রক্ষকের ভূমিকায় দেখতে চাই : প্রধানমন্ত্রী