বৈশাখেই যখন তখন আষাঢ়ের বৃষ্টি !
---
তৌহিদুর রহমান নিটল: বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখ। আজ বৈশাখ মাসের ৯ দিন। কিন্তু এক সময়ের খরতাপে পোড়া বৈশাখ মাস এখন আর নেই। কেননা, বৈশাখের এমন দিনে আষাঢ়ে বৃষ্টি থাকে হরহামেশাই। থাকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন বর্ষাকালের মতো! কখনো টানা বৃষ্টি, কখনো থেমে থেমে। অথচ বর্ষার এই রুপ কেবল আষাঢ়েই দেখা যেত। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই রুপ দেখা যায় বৈশাখও।
কয়েক বছর আগেও বৈশাখের খরতাপে হাঁপিয়ে উঠেছে দেশের নানাপ্রান্তের মানুষ। বিশেষ করে মাঠে ঘাটে কর্মজীবী মানুষের কাছে বৈশাখের রোদ মানে আগুন হাওয়ার মতোই ছিলো। কাঠফাটা প্রচন্ড রোদ আর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিলো খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে। উত্তাপকে কাজে লাগিয়ে রাস্তা ঘাটে বিভিন্ন পানীয় বিক্রির থাকতো মহাউৎসবও।
গত বছরও বৈশাখের এমন দিনগুলোতে মানুষগুলো প্রচন্ড রোদ আর গরমে বেশ অস্বস্তিতেই ছিলো। এক বছরে তার ভয়াভহ পরিবর্তনও বটে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলেই এমন অবস্থা।
এই বৈশাখে ইতোমধ্যেই একাধিক দিন বৃষ্টি হয়েছে। কখনো রাতে, কখনো দিনে। দেশের কোথাও কোথাও হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ও। আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনই ছিল আকাশ মেঘলা। আবার বিকেলে থেকে এখন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতে হচ্ছে বৃষ্টি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্নস্থানের বৃষ্টির কারণে মানুষের ভোগান্তিও দেখা গেছে। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মানুষগুলি যে যেখানে পেরেছে ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।এছাড়া জেলা শহরের রাস্তাগুলোতে পানি জমে যাতায়ত মানুষগুলো পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া বিপণি বিতানগুলো সারাদিন বৃষ্টির কারণে হয়ে পড়েছে ক্রেতা শূন্য। কাচাঁ মাল বিক্রেতারা সারাদিন তাদের ক্রেতা শূন্যতার কারণে বিপাকে পড়েছে। সব মিলেয়ে ” আষাঢের বৃষ্টি বৈশাখে ” মানুষ ফেলেছে চরম দূর্ভোগে।