সোমবার, ১লা মে, ২০১৭ ইং ১৮ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বৈধ পথে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার দারুণ সুযোগ

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৩, ২০১৭
news-image

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে কাজ করার ইচ্ছা কমবেশি সবারই থাকে, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে বহু টাকা খরচ করে অর্থ উপার্জন করতে যান। কিন্তু অসৎ মানুষের খপ্পরে যেমন সর্বস্ব হারান, তেমনি বাধ্য হন মানবেতর জীবনযাপন করতে। অথচ একটু পরিকল্পনা আর সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এগোতে পারলে সহজেই ইউরোপের দেশগুলোতে বৈধভাবে পরিশ্রম করে কাঙ্ক্ষিত জীবন পাওয়া সম্ভব।

অবৈধ উপায় ছাড়া ইউরোপে যাওয়া সম্ভব নয় বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে। তবে সঠিক উপায়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রসেস করতে পারলে ইউরোপের যেকোনো দেশে গিয়ে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে বসবাস করা সম্ভব। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ইউরোপের দেশগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে পরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বা পিআর পাওয়া যায় সহজেই।

তবে ইউরোপে কাজ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো দক্ষতা। কেননা, অদক্ষ মানুষের জন্য কোনো কাজ নেই ইউরোপে।

তাই যে কাজে দক্ষ হিসেবে কেউ ট্রেড স্কিল ওয়ার্কার ভিসা নিয়ে ইউরোপে যেতে চান, সে কাজে তাঁর ন্যূনতম অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে। আর এই যোগ্যতা হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতার সম্মিলন। সেইসঙ্গে ইউরোপের কিছু দেশে ইংরেজিতে কিছু জ্ঞানেরও প্রয়োজন পড়ে।

এ মুহূর্তে স্বল্প সময়ে ও সহজে আবেদন করে যাওয়া যায়, ইউরোপের এমন কিছু দেশ সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়া হলো।

নরওয়ে ও পোল্যান্ডে ট্রেড স্কিল জব ভিসা : 

হোটেল, রেস্টুরেন্টে বা কনস্ট্রাকশন কাজে আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে এবং সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম ছয় মাসের ট্রেনিং থাকে, তাহলে আপনি চার মাসের মধ্যে চাকরিসহ নরওয়ে ও পোল্যান্ডে যেতে পারবেন। দেশ দুটিতে রয়েছে প্রচুর আয় করার সুযোগ, নিরাপদ জীবন এবং স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়ার সম্ভবনা। জানেনই তো, নিরাপত্তার দিক থেকে নরওয়েকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ বলা হয়ে থাকে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা :

পর্তুগালে জরুরি ভিত্তিতে দুই বছরের ভিসা করা সম্ভব। ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যে কেউ আবেদন করে যেতে পারেন উন্নত এই দেশটিতে। পর্তুগালে আবেদন করলে IELTS এবং বিশেষ সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয় না। শুধু নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্যই এই দেশটিতে যাওয়া সম্ভব।

ইউক্রেন সিটিজেনশিপ প্রোগ্রাম :

প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ ইউক্রেন। পৃথিবীর মধ্যে বর্তমান সবচেয়ে কম সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায় দেশটিতে। বসবাস ও ব্যবসা করার জন্য রয়েছে অসাধারণ কিছু সুযোগ-সুবিধা। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্যও এই প্রোগ্রাম উন্মুক্ত রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলেই আপনি জানতে পারবেন আপনার সম্ভাবনা কতটুকু। করুন। এই প্রোগ্রামের অধীনে মাত্র এক বছরের মধ্যে ইউক্রেনের পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব।

ইউরোপের এই দেশগুলোতে গিয়ে জীবন গড়তে আগ্রহী ব্যক্তিরা এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী  ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে চাইলে ০১৭৯৬৬০৪১৩৩৩ বা ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০ এই নম্বর দুটিতে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন।

অথবা [email protected] এই ঠিকানায় পাঠাতে পারেন নিজের পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত।

এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে।

এ বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com এই ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারেন। প্রাথমিক তথ্যর জন্য ফোন করতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৭৭০১৪৭৭৮, ০১৯৬৬০৪১৮৮, ০১৯৯৩৮৪৩৩৩৯ বা ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০ নম্বরগুলোতে।

 

NTV.Com