শততম টেস্টে শিষ্যদের কাছে সেরাটা চান ওয়ালশ
---
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের শততম টেস্ট কোর্টনি ওয়ালশের কাছে বিশেষ এক উপলক্ষই। কলম্বোর ঐতিহাসিক পি সারা ওভালে বুধবার শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে সে কারণেই ভালো কিছুর প্রত্যাশা বাংলাদেশের বোলিং কোচের। তাঁর আশা, বিশেষ উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা উজাড় করে দেবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা, ‘শততম টেস্ট একটা বড় উপলক্ষ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই গর্বের মুহূর্ত। খেলোয়াড়েরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়েই এই ম্যাচটায় ভালো করবে বলে আশা করি। আমি চাই, প্রত্যেকেই এই ম্যাচে নিজের সেরাটা নিয়ে আবির্ভূত হোক।’
গলে তিন পেসার খেলানো নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে এখনো। ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে কোনো সমস্যা দেখেন না সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার। তিনি মনে করেন, গলে তিন সিমার খেলানোর সিদ্ধান্তটি কাজে লাগতেও পারত, ‘গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বোলিং করাটা সব সময়ই খুব চ্যালেঞ্জিং। গলে তিন সিমারকে খেলানো কাজে লাগতে পারত। কিন্তু আমরা শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেট নিতে পারিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই খেলোয়াড়দের সেরাটা দেওয়া উচিত। গরম ও আর্দ্র কন্ডিশনেও নিজেদের একটু গুছিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই টেস্টের অভিজ্ঞতা অবশ্য বেশ কাজে লাগবে।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের দায় ব্যাটসম্যানদের ওপরই দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ওয়ালশও সেই পথেই হাঁটলেন, ‘গলে যত জন সিমার খেলুক, কিংবা যত স্পিনারই খেলুক। আমার মনে হয়েছে গলের উইকেটটা খুবই ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। এমন উইকেটেও তারা লম্বা সময় ব্যাট করতে পারেনি।’
তাসকিন-মোস্তাফিজদের আগলে রাখারই চেষ্টা করলেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ, ‘আমি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে উন্নতি দেখছি। তবে ওরা বেশ অনভিজ্ঞ। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ওরাও পরিশ্রম করছে। যত বেশি খেলবে তত বেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা আমার।’ তবে শিষ্যদের কাছ থেকে আরও ধারাবাহিকতা, ধৈর্য ও বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আশা করেন ওয়ালশ।