যেভাবে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবৈধ ইটভাটা
আমিরজাদা চৌধুরী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের বুধন্তী এলাকার দিয়ানা ব্রিকফিল্ডের মালিক মুক্তি রায়ের কাছে দাবী করা হয়েছিলো ২ লাখ টাকা। এই টাকা দিতে গড়িমসি করায় তার কর্মচারী মিন্টু মিয়াকে আটক করে নিয়ে আসেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) আর পরিবেশের লোকজন। এরপর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে নিজের লোককে ছাড়িয়ে নিয়ে যান ব্রিকফিল্ড মালিক। মুক্তি রায় জানান- তাকে টাকা পরিশোধের জন্যে ৫ মিনিটের সময় দেয়া হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো এই সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে তার লোকের সাজা হবে। কয়েকদিন আগের ঘটনা এটি। তবে এ ঘটনার পর এনডিসি এসএম মুসাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। মুক্তি রায় জানান-তার মতো সব ব্রিক ফিল্ড মালিকের কাছ থেকে এক-দেড় লাখ করে নেয়া হয়েছে। সরাইলের সফল ব্রীক ফিল্ডের মালিককে প্রকাশ্যে জরিমানা করা হয় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু গোপনে তার কাছ থেকে নেয়া হয় এক লাখ টাকা। এই টাকা পাওয়ার পর অবৈধ বলে ওই ব্রিকফিল্ডের বিচ্ছিন্ন করা সংযোগ ১৫ মিনিটের মধ্যে পুনরায় চালু করা হয়। নবীনগরের এক ব্রিক ফিল্ড মালিক বলেন- সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও টাকা দিতে হয়। এবার ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। গতবার ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দিতে দেরী হওয়ায় আমার লোক আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তখন। জেলার প্রশাসন আর পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রিকফিল্ড নিয়ে এমন বানিজ্য ওপেন সিক্রেট । টাকা না পেলেই অভিযান,আর ধরাধরি হয়। অভিযোগ প্রশাসনের এল আর ফান্ড (লোকাল রেভিনিউ ) এবং বিভিন্ন দিবস পালনের খরচ বাবদ আদায় করা হচ্ছে ব্রিকফিল্ড মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা। মুলত জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নেজারতের ষ্টাফরাই এই টাকা আদায়ে অগ্রগামী। টাকা দিতে হয় উপজেলা প্রশাসনের ফান্ডেও। তাদেরকে টাকা দিয়েই প্রতিবছর চলে অবৈধ ব্রিকফিল্ডগুলো। বৈধ ব্রিকফিল্ড মালিকদেরকেও দিতে হয় টাকা। আর সেকারনে জেলা,উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্রিকফিল্ডগুলোতে লোক দেখানো অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ইট উৎপাদন শুরু হয়েছে ২ মাস আগে। এরমধ্যে উল্লেখ করার মতো অভিযান হয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে কিছু অভিযান করলেও উপজেলা প্রশাসন একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। গত সপ্তাহে কসবার সহকারী কমিশনার-ভূমি মো: নাসির উদ্দিন সরোয়ার জানান- নানা ব্যস্ততায় তারা এখনো অভিযান করতে পারেননি। সরাইল উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো খোজখবর নেয়ার মধ্যেই আছেন। অথচ এ উপজেলার ২/১টি ছাড়া সব ব্রিক ফিল্ডই অবৈধ। জেলা প্রশাসনের এনডিসি এস এম মুসা অবৈধ ব্রীকফিল্ডের তালিকা দিতেই অপারগতা প্রকাশ করেন। তালিকা চাইলে দেয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেন তিনি। মুসা ২০১৬ সালের ১৪ ই জুলাই থেকে এ বছরের ৩ রা জানুয়ারী পর্যন্ত ৬ মাস জেলা প্রশাসনের এনডিসি’র দায়িত্ব পালন করেন। এরমধ্যেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে-জেলার অর্ধেকের বেশী ব্রীক ফিল্ড চলছে অবৈধভাবে। এসবের কোনটির লাইসেন্স নেই,কোনটির নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। ফসলী জমি,বাড়িঘরের পাশে ঘরে উঠেছে এসব ব্রীক ফিল্ড। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে অনেক ব্রীকফিল্ড পুরনো পদ্ধতির। জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইট কারখানায় রূপান্তরিত হয়নি এগুলো। অবৈধ বিদুৎত সংযোগেও চলছে কোন কোন ব্রীক ফিল্ড। জেলা প্রশাসনের নেজারত শাখা থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুসারে জেলায় ইটভাটার সংখ্যা ১৫৭টি। এরমধ্যে ৭৯টি ইটভাটাই অবৈধ। জেলায় সবচেয়ে বেশী অবৈধ ব্রীক ফিল্ড সরাইল উপজেলায়। এ উপজেলার ৩৮ টি ব্রিকফিল্ডের মধ্যে ৩৫টি ব্রীক ফিল্ডই অবৈধ। এখানে এক লাইসেন্স দিয়ে চালানো হচ্ছে কয়েকটি ব্রীক ফিল্ড। মেয়াদ নেই এমন লাইসেন্স কিনে কেউ কেউ অন্য নামে ইট উৎপাদন করছেন। ইচ্ছে মতো চিমনি দিয়ে চলছে এখানকার ইটভাটা। কয়েকটি ইটভাটার বিদুৎত সংযোগও অবৈধ। ফসলী জমি ও রাস্তার পাশ থেকে মাটি নিয়ে ইট বানানো হচ্ছে এসব কারখানায়। ওসমান মিয়া এখন কয়েকটি ইটভাটার মালিক । তবে এর কোনটিই বৈধ নয়। ১০ বছর আগে সমতা ব্রিকস এর লাইসেন্স ক্রয় করেছিলেন আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে। ওই লাইসেন্সের বলেই তিনি একে একে সরাইল এলাকায় ৩-৪ টি ইট ভাটা চালু করেন। সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে সমতার কাগজের উপর ভর করেই রিফান নামের একটি ভাটা চালু করেন ওসমান। এক বছর পর সেই ভাটাটি ভাড়া দিয়ে শাহজাদাপুরে ইসলাম নাম দিয়ে আরেকটি ব্রিকফিল্ড চালু করেন। গত বছর নিয়ামতপুর এলাকায় ফসলি জমির মাঝখানে মোঃ হুমায়ুন রশিদ দুলুর জনপ্রিয় নামক ইটভাটাটি ওসমান ভাড়া নেন।
বৈধ সকল কাগজপত্র না থাকলেও সেখানে তিনি মনগড়া মত ইট তৈরী করছেন। কখনো সেনা মিয়া কখনো এমবিসি নামে ইট তৈরী করছেন। সেখানকার অধিকাংশ কৃষক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় নালিস সালিস করেও কোন প্রতিকার পাননি। ওসমান মিয়া বলেন-এক লাইসেন্সে একাধিক নামে ব্রিকস মিল চালানো যায়। অন্য গুলো হল মূল মিলের ব্র্যান্ড। সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে ধর্মতীর্থ গ্রামে জন বসতি ঘেষে গড়ে উঠেছে সফল ব্রিকস নামের ইটভাটা। সম্প্রতি ওই ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু আড়ালে এক লাখ টাকা নেয়া হয় বলে জানা গেছে। বিদুৎতের লোকজন ওইদিন মিলের বিদুৎত সংযোগ অবৈধ বলে তার খুলে অফিসে নিয়ে আসে। বিশেষ তদবিরে ওই সংযোগটি আবার দিয়ে দেয়া হয়। সরকারি খাল,নদীর পাড় দখল করে ও ফসলি জমিতে কোন বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই গত ২ বছর ধরে আশা নামের ইটভাটা চালিয়ে আসছেন জাকির মিয়া। মলাইশ গ্রামে নদীর পাড় দখল করে গড়ে উঠা কল্যাণ ব্রিকসের ধোঁয়ায় কৃষি জমি ধংস হতে থাকলে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। দীর্ঘদিন ঘুরেও কোন প্রতিকার পাননি সেখানকার কৃষকরা। কল্যান ব্রিকসের মালিক আওয়ামীলীগ নেতা কালন মিয়াও খুলে বসেছেন এক লাইসেন্সে একাধিক ইট কারখানা।
সরাইল-অরুয়াইল সড়কের পাশে লোপাড়ায় গত ৩-৪ বছর ধরে চলছে মা-বাবা নামের ব্রিকস মিল। লাইসেন্স বিহীন ওই মিলটি বসত বাড়ি ও মাঠের ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের জরিমানা করে। এরপরও সচল কারখানা। ফসলি জমি ও সরকারি জায়গার মাটি কাটা হচ্ছে এই কারখানার ইট উৎপাদনে। এ কারখানার কারনে গত বছর প্রায় ৫০ একর জমির বোরো ধানে চিটা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সমাবেশসহ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে। কথা ছিল ফসলি জমি থেকে এটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। পাশেই চলছে পিবিসি নামের ব্রিকস মিল। এই মিলের প্রকৃত মালিক ছিলেন সদর উপজেলার সুহিলপুরের মোঃ হোসেন ভূঁইয়া। নাম ছিলো সোনালী ব্রিকস। কোন বৈধতা না থাকলেও ভাড়া দিয়ে সটকে পড়েন তিনি। শফিক নামের এক লোক সোনালী ব্রিকসের নাম পাল্টিয়ে পিবিসি নাম দিয়ে ইট তৈরী করছেন। আর সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটায় তাকে একাধিবার নোটিশ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জরিমানাও গুনতে হয়েছে। পরে মাসোয়ারায় সব ম্যানেজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন,‘ আমার জানা মতে চূড়ান্তভাবে ভাবে শুধু শাপলা ও ইউনিয়ন নামক ২টি ব্রিকস মিলের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এ বিষয়ে খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মো: রাজিব বলেন- আমরা ৫টি মোবাইল কোর্ট করেছি। ৬ লাখ টাকার মতো জরিমান করা হয়েছে। তার দাবী বিভিন্ন কারনে ম্যাজিষ্ট্রেট পাওয়া যায়নি বলে এতোদিন আরো অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: বশিরুল হক ভূইয়া বলেন-নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট হচ্ছে সবসময়। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। এমন হলেতো আমরা আর অভিযানই চালাতামনা। অনেক বড়বড় জরিমানাও করেছি আমরা। তবে ম্যাজিষ্টেট সংকটও একটি কারন ছিলো।
তিনি এনডিসি এসএম মুসাকে আভ্যন্তরীন কারনে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান। বলেন আমাদের কাছে মনে হয়েছে তার চেয়ে জেলা প্রশাসনে আরো যোগ্য লোক রয়েছে এনডিসি’র দায়িত্ব পালন করার মতো।
অবৈধ ইটভাটা: সরাইলের অবৈধ ইটভাটাগুলো হচ্ছে নিয়ামতপুরের মেসার্স জনপ্রিয় ব্রিকস,শাহবাজপুরের মেসার্স বলাকা ব্রিকস এন্ড কোম্পানী,নিয়ামতপুরের মেসার্স ফাইভ ষ্টার ব্রীকস,কালিকচ্ছের ধমতীর্থ এলাকার মেসার্স সোনালী ব্রিকস (খান্দানি ব্রীকস),শাহবাজপুরের মেসার্স চাদনী ব্রিকস,আইড়লের মেসার্স নিউ আহাদ ব্রীকস,চুন্টার মেসার্স এম (মেঘনা) এইচ ব্রীকস,ধীতপুরের মেসার্স হাফিজ ব্রীকস,শাহবাজপুরের মেসার্স নিউ আহাদ ব্রিকস-৩,কালিকচ্ছের মেসার্স সফল ব্রীকস,শাহবাজপুরের মেসার্স নিহাদ ব্রীকস,আইড়লের মেসার্স আনিস ব্রীকস,মলাইশের মেসার্স ইসলাম ব্রীকস,মেসার্স কালা মিয়া ব্রীকস,কালিকচ্ছের মেসার্স আজম ব্রীকস,শাহবাজপুরের মেসার্স নূর ব্রীকস,মেসার্স তৃষা ব্রিকস,পানিশ্বরের মেসার্স আশুগঞ্জ ব্রিকস, শাহবাজপুরের মেসার্স রয়েল ব্রীকস,মেসার্স কল্যান ব্রিকস,মেসার্স আমিন এন্ড কোম্পানী,সরাইলের মেসার্স ষ্টার ব্রিকস,নোয়াগাও এর মেসার্স এস আর ব্রিকস,চুন্টার মেসার্স রিয়াদ ব্রিকস,পানিশ্বর দেওবাড়িয়ার মেসার্স মেঘনা ব্রীকস,সরাইলের মেসার্স আনাছ ব্রিকস,ধীতপুরের মেসার্স দেশ ব্রিকস,মলাইশের মেসার্স নিউ কল্যান ব্রিকস,সরাইলের শাহাজাদাপুরের মেসার্স নিউ সমতা ব্রিকস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উজানিসারের মেসার্স আলম এন্ড কোম্পানী,বিরামপুরের মেসার্স রহমান এন্ড কোম্পানী,সুহিলপুরের খলাপাড়ার মেহদী এন্ড মহুয়া আলম অটো ব্রিকস,সুহিলপুরের মেসার্স সাগর ব্রিকস,কাছাইটের মেসার্স পূর্বাশা ব্রিকস,সুহিলপুরের মেসার্স মেহেদী ব্রিকস,আবুল ফয়েজ এন্ড কোম্পানী,এ খালেক ব্রিকস,মেসার্স এন্ড কোম্পানী ইট সিমেন্ট প্রকল্প,মজলিশপুরের মেসার্স একতা ব্রিকস,বাঞ্চারামপুরের আকানগরের তেজখালী কেবিসি ব্রিকস,নবীনগরের মেসার্স জালাল ব্রিকস,কসবার মন্দভাগের মেসার্স এস আই ব্রিকস,মঈনপুরের টিএএসকে ব্রিকস,এনএফ ব্রিকস,আখাউড়ার মনিয়ন্ধের মেসার্স আলম ব্রাদার্স,ধরখারের মেসার্স জননী ব্রিকস,মোগড়ার মেসার্স হ্নদয় ব্রিকস,মেসার্স সুরমা ব্রিকস,ধরখারের এসএমবি ব্রিকস,আজমপুরের দৌলতবাড়ি ব্রিকস,বিজয়নগরের রসুলপুরের মেসার্স জাহান ব্রিকস,মির্জাপুরের পায়েল ব্রিকস,চম্পকনগরের মেসার্স চম্পকনগর অটো ব্রিকস,হরষপুর পাইকপাড়ার মেসার্স শিহাব ব্্িরকস,বুধন্তির মেসার্স জামাল ব্রিকস,মেসার্স জামান ব্রিকস,মেসার্স দিয়ানা ব্রিকস,চান্দুরার মেসার্স ভূইয়া ব্রিকস,মেসার্স জাপান ব্রিকস,মেসার্স মায়ের দোয়া ব্রিকস,মেসার্স জালাল ব্রিকস,মেসার্স ভূইয়া এন্ড কোম্পানী,নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুটের মেসার্স শিহাব ব্রিকস,চাতলপাড়ের মেসার্স হোসেন ব্রিকস,গোয়ালনগরের মেসার্স সোনালী ব্রীকস,জেঠাগ্রামের মিজান ব্রিকস,গোকর্নের মেসার্স রাকসান ব্রিকস,শ্রীঘরের এসআর ব্্িরকস,চাপরতলার মেসার্স সাথী ব্রিকস,গোয়ালনগরের সালমা ব্রিকস,মেসার্স সুজন ব্রিকস,নাসিরনগরের মেসার্স বি.বাড়িয়া ব্রীকস,কুন্ডার মেসার্স রঙ্গন ব্রিকস,বুড়িশ্বরের মেসার্স মামুন ব্রিকস,আশুগঞ্জের মেসার্স মামুনি ব্রিকস,এমএসবি ব্রীকস,ষ্টার ব্রিকস,আরএসপি ব্রিকস ও সবুজ ব্রিকস চলছে অবৈধভাবে।