কাশ্মীরে তুষার ধসে সেনা সদস্যসহ ১৫ জন নিহত
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে একদিনেই চারটি তুষার ধসের ঘটনায় ১১ সেনা সদস্যসহ ১৫জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি তুষার ধসের ঘটনা ঘটেছে উপত্যকার উচ্চতর এলাকা গুজের সেক্টরে, বাকি তুষার ধসটি হয়েছে সোনমার্গে। তুষার ধসে নিহত সকলেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও গুজের সেক্টরে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সেনার নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
নিখোঁজ সেনাদের উদ্ধারে জোরদার অভিযানও শুরু করা হয়েছে। তবে ঠান্ডা হাওয়া ও ভারী তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।
উপত্যকায় প্রথম তুষার ধসের ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালের দিকে গুরজ সেক্টরে, এই ঘটনায় একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় তুষার ধসটি হয় ওইদিন সকালে সোনমার্গ এলাকায়। এখানে একটি সেনা ঘাঁটিতে তুষার ধসের ফলে সেনার এক মেজরের মৃত্যু হয়, পরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাত সেনা সদস্যকে।
এরপর বিকালে গুরেজ সেক্টরে পরপর দুইটি তুষার ধসের ঘটনা ঘটে। একটি ধস আছড়ে পড়ে সেনা ছাউনিতে, অন্যটি আছড়ে পড়ে টহলরত সেনাবাহিনীর ওপর। ঘটনাস্থলেই তুষারের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয় ১০ সেনা সদস্য। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০ সেনার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত টিক কতজন সেনা জওয়ার তুষারের নিচে আটকে পড়ে আছে তা এখনও পরিস্কার নয়।
সেনার (উধমপুর) অঞ্চলের মুখপাত্র জানান ‘গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারী গুরেজ সেক্টরের দুইটি পৃথক জায়গায় সেনা ঘাঁটি ও টহলরত সেনার ওপর আছড়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত দশটি লাশকে উদ্ধার করা গেছে। খারাপ আবহাওয়া ও ভারী তুষার পাতের মধ্যেই আমাদের সেনারা কাজ করছেন। তুষারধসের ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকেই প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, কুপওয়ারা, বান্দিপোরা, অনন্তনাগ, বারামুলা, গান্ডেরবল, কুলগাঁম, পুঞ্চ, রাজৌরি, রেসাই, ডোডা এবং কিস্তওয়ার জেলার অধিকাংশ জায়গায়। পরদিন মঙ্গলবার থেকে আরও তীব্র হয় তুষারপাত।