কক্সবাজার প্রতিনিধি : কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীইন্দোনেশিয়ার পররাষ্টমন্ত্রী রেতনো মারসুদিকে নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ১২ পর্যন্ত শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বেলা ১১টার দিকে উখিয়া পৌঁছায়। পরে তারা কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে যান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকও তাদের সঙ্গে ছিলেন। এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আব্দুর রহমান বদিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
দুই মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ব্লকে পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কথা শোনেন।
উল্লেখ্য রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতন ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি আজ বৈঠক করবেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর তাদের এই বৈঠক হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা রয়েছে । রাতেই তিনি দেশে ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এখন পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং ৩০ হাজারের বেশি গৃহহারা হয়েছেন। এছাড়া নিজেদের জীবন বাঁচাতে ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছেন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।
এদিকে রাখাইন প্রদেশের সহিংস ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার মিয়ানমারে এক বৈঠকের আয়োজন করেছেন অং সান সু চি। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাতে বাংলাদেশে আসেন।
এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কঠোরভাষায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না এবং তারা কোনও ধরনের নাগরিক সুবিধাও ভোগ করেন না।