নিউজ ডেস্ক : আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা না দিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। দু-এক দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব জমার ক্ষেত্রে চরম অনীহা দেখিয়ে আসছে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে নিরীক্ষার প্রয়োজনই মনে করে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এ পরিস্থিতিতে ইউজিসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রতিবছর আর্থিক হিসাব সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। এটা অমান্য করলে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়াই নয়, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিদ্যমান আইনে তাদের অর্থ বা কারাদণ্ড এমনকি উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান আছে। আমরা প্রয়োজনে আইনের এসব ধারা প্রয়োগের সুপারিশ করব।’
জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের কাছে হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলসংক্রান্ত আইন লংঘন করে চলেছে। দিন দিন আয় বাড়ছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থ নিচ্ছে।
কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ন্যূনতম অর্থ কমিটির সভা পর্যন্ত করছে না। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা (অডিট) করাচ্ছে না। কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের প্রয়োজনও মনে করে না। এভাবেই তারা বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাগাম টেনে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।
সম্প্রতি ইউজিসি থেকে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। তাতে দেখা যায়, ৭৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৭টির নিরীক্ষা প্রতিবেদন হালনাগাদ আছে। ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো তথ্যই দেয়নি।
গড়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আয় করেছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। অপরদিকে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যয়ও করেছে প্রায় দুই হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। আয়-ব্যয় সমান দেখিয়েছে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়। আয়-ব্যয় কীভাবে সমান হয় তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।