নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগে বাংলাদেশ অন্য রাষ্ট্র থেকে খাদ্য আমদানি করতো। এখন আমরা খাদ্য রফতানি করছি। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মঙ্গলবার দুপুরে খাদ্য বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আমন চাল সংগ্রহ ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ে খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিবছর সরকারের ২০/২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত থাকে।
বাংলাদেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নেতৃত্বে আছে বলেই দেশে কোনো প্রকার খাদ্য সংকট নেই। বাংলাদেশ চাল উৎপাদনে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে ও আলু উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আগে ১৬ কোটি মানুষের জন্য অন্য রাষ্ট্র থেকে চাল আমদানি করা হতো। এখন ১৬ কোটি মানুষের দেশ থেকে চাল রফতানি করছি প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২০ লাখ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গোডাউন তৈরি আছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ২৫ লাখ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গোডাউন তৈরি করা হবে। যাতে খাদ্য মজুত নিয়ে কোনো প্রকার হিমশিম খেতে না হয়।
আগামী বছরের শুরুতে খাদ্য বিভাগকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুতে খাদ্য অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম অনলাইনে নিয়ে আসা হবে। অনলাইন সিস্টেমে নিয়ে আসা হলে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ করাসহ সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবে মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার যে অঙ্গিকার দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরো দেশে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু করেছে সরকার। সরকার বছরের ৬ মাস পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তারা।