ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় খাবার হিসেবে ঘাস ফড়িং ব্যাপক জনপ্রিয়। বর্ষায় সেদেশের প্রোটিন চাহিদার অন্যতম উৎস হয়ে ওঠে এটি। যে কারণে এই মৌসুমে কুড়মুড়ে ভাজা ঘাস ফড়িংয়ের ব্যবসাও জমে ওঠে বেশ।
বর্ষাকাল ঘাস ফড়িংয়ের প্রজনন মৌসুম। যে কারণে এই ব্যবসায় যারা জড়িত, তাদের সবার বাড়িতেই দেখা যায় বিভিন্ন আয়োজন।
নিশাচর এই পোকাকে ফাঁদে ফেলতে আলো, টিনের শিট এবং ব্যারেল ব্যবহার করে স্থানীয়রা। টিনের শিটগুলো কাত করে রাখা হয় এবং শিটের প্রান্তে জুড়ে দেয়া ব্যারেল, উচ্চ মাত্রায় আলোকিত রাখা হয় ব্যারেলটিকে। ঘাসফড়িং টিন শিটে থেকে সোজা নেমে আসে ব্যারেলে অথাৎ ব্যবসায়ীর ফাঁদে।
বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের কাছে বাড়তি আয়ের উৎসও এটি। ব্যবসায়ী রিগান কাওয়ালইয়া বলেন, “নভেম্বরে এই ফড়িং ১০০ কিলোগ্রাম বিক্রি করি ৫৫ ডলারে, অবশ্য সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম একটু পড়ে যায়।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাদ আর পুষ্টিগুণের জন্য ঘাস ফড়িঙের ব্যবসা বাড়ছে। সাধারণত ফড়িংয়ের অ্যান্টেনা, পা আর পাখা ফেলে খাওয়ার উপযোগী করা হয়।
স্থানীয় এক অভিবাসী জানান, “আমার স্ত্রী খুব পছন্দ করে এটি। ঘাসফড়িং ভেজে পেঁয়াজ আর রসুনের সঙ্গে মেখে খেতে খুব মজা। আর এর কুড়মুড়ে ভাবটার কারণে এটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের চেয়েও মজার।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় বাজারে ঘাস ফড়িংয়ের সরবরাহ কম। যে কারণে নতুন উদ্যোক্তাও কম এসেছ এবার। সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এবং এপ্রিস থেকে মে পর্যন্ত ঘাস ফড়িংয়ের এই ব্যবসা জমে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি