আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যে ধরণের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। সোমবার সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারের মংড়ুতে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। নভেম্বরে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার। প্রায় একই সময় সেনাবাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। অ্যামনেস্টির হিসেব অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সোমবার অ্যামনেস্টি জানায়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ ও ভিডিও চিত্রের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যা, গণধর্ষণ, নির্যাতন ও তাদের বাড়িঘর লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। অ্যামনেস্টি মনে করছে এসকল কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।
সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিষয়ক পরিচালক রাফেন্দি ডিজামিন বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক রোহিঙ্গাদেরকে অনুভূতিহীন ও নিয়মতান্ত্রিক সহিংসতার লক্ষ্যে পরিণত করেছে। একটি সমন্বিত শাস্তির অংশ হিসেবে সেখানে পুরুষ, মহিলা, শিশু, পুরো পরিবার, পুরো গ্রামের ওপর হামলা হয়েছে এবং নির্যাতন করা হয়েছে।’এই ইস্যুতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেত্রি অং সাং সুচি তার রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি রাখাইন রাজ্যে তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।