২১শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং, বুধবার ৭ই পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
পূর্ববর্তী ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি মুছে ফেলা সম্ভব নয় : বাট


‘দর্শক আমাকে বড় পর্দায় দেখতে পাবেন’


Amaderbrahmanbaria.com : - ১৯.১২.২০১৬

ছোট পর্দার মিষ্টি মুখ দীপা খন্দকার। গুণী অভিনয়শিল্পী হিসেবে অনেক আগেই দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে দীপার। তারপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন দীপা। দেখা গেছে- বিজ্ঞাপনচিত্রসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে।

Loading...

বর্তমানে একক নাটকের চেয়ে ধারাবাহিক নাটকে বেশি দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। টেলিভিশন নাটকের সমসাময়িক বিষয়সহ নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগার নানা বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়েছিলেন দীপা। এ আলাপচারিতার চুম্বক অংশ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই সাক্ষাৎকার।পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন : টিভি নাটকে বাজেটস্বল্পতা ও পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে হরহামেশাই অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি কি আদৌ সত্য?
দীপা : হ্যাঁ, বাজেটস্বল্পতা তো অবশ্যই রয়েছে। কারণ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বড় বাজেট নিয়ে নির্মাতারা নাটক বানাতেন। কিন্তু এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে, দৃশ্যায়নে ভালো ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে, শুধু কমেছে বাজেটের পরিমাণ। অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশের টিভি নাটক অনেক বেশি সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বাজেটস্বল্পতার কারণে নাট্যশিল্পটা ঠিক ওইভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে তেমনভাবে বলার কিছু নেই। কারণ এখন অধিকাংশ আর্টিস্ট ডেইলি পেমেন্টে কাজ করেন, তা হোক সেটা খণ্ড কিংবা ধারাবাহিক নাটক।

প্রশ্ন : টিভি নাটক মানুষ দেখে না। কথাটার সত্যতা কতটুকু?
দীপা : ঈদ কিংবা বিশেষ দিবসে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে প্রচুর নাটক সম্প্রচারিত হলেও আমরা শুনি যে, নাটক মানুষ দেখেন না। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলোর প্রতি ঝুঁকেছেন। এটাকে আমি দোষ দেব না। সময়টা এখন এমন চলছে, আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের বাচ্চারা বা টিনেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, যারা বসে নাটক দেখার পক্ষে না। আমার কাছে মনে হয়, যারা একটু বয়স্ক, নাটক তারাই দেখেন। আর তারা ফ্যামিলি ড্রামা পছন্দ করেন।

প্রশ্ন : নাটকের হালচাল এবং মান নিয়ে যদি কিছু বলেন।
দীপা : আমার কাছে মানদণ্ড বলে কিছু নেই। ক্যারিয়ারের শুরুতে নাটকের মান তখনকার মতো ভালো ছিল আর এখন এখনকার মতো ভালো আছে। এটা একান্তই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যে যেভাবে দেখে, সে সেভাবেই বলে।

প্রশ্ন : তবে দর্শক কমে যাওয়ার কারণ কী?
দীপা : বাজেট ঘাটতির কারণে নাটক নির্মাণে ত্রুটি থেকেই যায়। সবকিছু তাড়াহুড়া করে করা হয়। যার কারণে সঠিকভাবে নির্মাণকাজ সম্ভব হয় না। আর এ জন্যই নাটকের দর্শক আর আগের মতো নেই। এ ছাড়া চ্যানেলগুলোর টানা বিজ্ঞাপন বিরতি তো রয়েছেই।

প্রশ্ন : চ্যানেলগুলোর টানা বিজ্ঞাপন বিরতিকে আপনি সমর্থন করেন ?
দীপা : সত্যিটা হলো নাটক আছে বলেই বিজ্ঞাপন আছে। তবে আমার মনে হয় এটাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। কারণ বিজ্ঞাপনের ফাঁকে নাটক নয়, নাটকের ফাঁকে বিজ্ঞাপন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাব, একটা সুষম ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টাকে মেইনটেইন করার জন্য।

প্রশ্ন : ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে খণ্ড না ধারাবাহিক নাটককে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন?
দীপা : আগে এক পর্বের নাটক প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু এখন ধারাবাহিকে প্রাধান্য দিই। কারণ এক পর্বের নাটকে বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে সব মিলিয়ে খুব অল্প সময়ই মানুষ নাটক উপভোগ করে। ফলে চরিত্রের ব্যাপারে তাদের তেমন ধারণা বা আগ্রহ জন্মে না। আর ধারাবাহিক নাটক কিন্তু মানুষ দেখবেই। কারণ ধারাবাহিক নাটক দেখলে মানুষ একটা চরিত্রের মধ্যে দীর্ঘ সময় নিয়ে ঢুকতে পারে। চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারে। মূলত এ কারণেই এখন ধারাবাহিক নাটক বেশি করছি।

প্রশ্ন : স্কুলিং না শিখেই আজকাল অনেকে হুট করে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করছেন। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?
দীপা : সবার আসলে সবকিছু শিখে আসার দরকার নেই। শুধু আগ্রহ আর শেখার ক্ষুধা থাকলেই হবে। আমাকে অভিনয়শিল্পী হতে হবে- বিষয়টা ফোকাস করে নিজের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পথ চললেই হবে। কারণ অভিনয় করতে করতেই কিন্তু অভিনয়টা শেখা যায়।

প্রশ্ন : একসময় আপনাকে বিজ্ঞাপনে নিয়মিত দেখা যেত। এখন বেশ অনিয়মিত। আসলে কারণটা কি?
দীপা : সব মিলিয়ে ২০টার মতো বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। আগে নিয়মিত করতাম কিন্তু এখন অনিয়মিত। কারণ সবকিছু আসলে ঠিকঠাক মেলে না। এই যেমন ধরুন, আগে বিজ্ঞাপনের আর্টিস্ট বাজেট বেশি থাকলেও এখন তার চিত্রটা ঠিক উল্টো।

প্রশ্ন : চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
দীপা : যখন মিডিয়াতে পথচলা শুরু করি, তখন প্রচুর সিনেমায় কাজ করার অফার পেয়েছি। কিন্তু ভয়ে অভিনয় করিনি। কারণ তখন অশ্লীল সিনেমার একটা সময় চলছিল। তবে এখন চিত্রটা পাল্টেছে। সবাই অবলীলায় অভিনয় করছে। আমারও অভিনয়ে আপত্তি নেই। অফারও পাচ্ছি। তবে গল্প-চরিত্র সবকিছু ব্যাটে-বলে হচ্ছে না। হলেই দর্শক আমাকে বড় পর্দায় দেখতে পাবেন। রাইজিংবিডি





Loading...

সম্পাদক ও প্রকাশক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close