সরাইল (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : সরাইলে জেএসসির এক পরীক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মামলা দিয়ে দরিদ্র পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,শাহজাদাপুর ইউনিয়নের শাহজাদাপুর গ্রামের প্রভাবশালী ধন মিয়া খাদেমের বখাটে ছেলে জুয়েল মিয়া খাদেম (২২) গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে প্রতিবেশী দিন মজুরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরী এ বছর শাহজাদাজাপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এক ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে ওই কিশোরী সবার ছোট। গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে দিকে ওই কিশোরী তাদের ঘরে একা ছিলো। ওই সময়ে জুয়েল খাদেম তাদের ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে আশ পাশের কয়েকজন নারী এগিয়ে আসলে জুয়েল খাদেম পালিয়ে যান। ঘটনার পর জুয়েল রানা খাদেমের চাচা আবু মিয়া খাদেম (৬৫) বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য কিশোরীর মা-বাবাকে হুমকি ধমকি দিয়ে যান। কিশোরীর মা কান্না জড়িত কণ্ঠে মানবজমিনকে বলেন, আবু মিয়া খাদেম এইডা (বিষয়টি) বইয়া (সালিসের মাধ্যমে) শেষ করবে কইয়া গেছে। কইছে কেউরে কইলে গ্রাম থেইক্কা বাইর কইরা (গ্রাম ছাড়া) দিবে। গতকাল দুপুর একটার দিকে কিশোরীরর ছোট্ট কূঁড়ে ঘরে বসে দুই সংবাদকর্মী কথা বলছিলাম ওই কিশোরী ও তার মা-বাবার সঙ্গে। মিনিট পাঁচের মধ্যে মার মুখি ভঙ্গিতে ঘরে প্রবেশ করেন জুয়েল রানা খাদেমের বাবা, বড় দুই ভাই ফয়সাল খাদেম ও আপেল খাদেমসহ ৭/৮ জন নারী পুরুষ। আমাদের সামনেই চলে কিশোরী ও তার মা-বাবাকে হুমকি ধমকির মহড়া। ঘটনার পরপর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে জুয়েল খাদেম।
সরাইল থানার ওসি রুপক কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এ ব্যাপারে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, ঘটনাটি লোক মুখে শুনেছি। খুঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।