২১শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং, বুধবার ৭ই পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


ইলেকটোরাল ভোট: নিশ্চিত নন ট্রাম্প!


Amaderbrahmanbaria.com : - ১৯.১২.২০১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ইতিহাসে তুরুপের তাসের মত ফলাফলটা উল্টেও যেতে পারে। স্থানীয় সময় সোমবার ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের আগে তেমন একটি গুঞ্জনের কথাই হচ্ছে। এর আগে আরো ২২ বার কেবল ইলেকট্ররাল ভোটের কারণে মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বিপরীত প্রার্থী।

১৮৩৬ সালে ২৩ জন ইলেকটোর ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকায় পপুলার ভোটে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রিচার্ড জনসন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এটাও একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাই ১৯ ডিসেম্বরকেও গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের অলিম্পিয়ার ক্যাপিটল রিসেপশন রুমে ৫৩৮ জন ইলেকটর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে নির্ধারিত হবে হিলারি ও ট্রাম্পের ভাগ্য। যদিও এই ভোটের তারিখে স্বভাবতই ফুরফুরে মেজাজে আছেন। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা ট্রাম্পকে কিন্তু ইলেকটোরদের আনুষ্ঠানিক সমর্থনও আদায় করতে হবে। যদিও আমেরিকার নির্বাচনে এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু ২০১৬ নির্বাচনে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে।

জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে থাকা হিলারিও একই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছেন। যদিও নিজেকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবেই ধরে নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি প্রশাসনের সদস্যদের বাছাই পর্যন্ত করছেন।

৮ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প ইলেকট্ররালদের ৩০৬টি ভোট পাওয়ায় অনায়াসেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা পাওয়ার কথা। প্রেসিডেন্ট হবার জন্য ইলেকটোরাল কলেজে তার প্রয়োজন ২৭০টি ভোট। হিলারি এখন ২৩২ বলেই তাঁকে আরো ৩৬ ভোট যোগাতে হবে প্রেসিডেন্ট হতে হলে।

কেন এই ইলেকট্ররাল ভোটকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে?

এক. কয়েকজন সদস্য এখনো তাদের ভোটের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না।

দুই. অনেকেই আবার নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ওঠায় ট্রাম্পকে ভোট না দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

তিন. এবার কোন কোন ইলেকটোর সংবিধানের তোয়াক্কা না করে নিজেদের পছন্দ মতো ভোট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

চার. হার্ভার্ডের আইনের প্রফেসর ল্যারি লেসিগ দাবি করেছেন, তাঁর কাছে প্রমাণ আছে ৩০ জন ইলেকটোর ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। ৩৮ জন সমর্থন প্রত্যাহার করলেই প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে সংশয়ে পড়বেন ট্রাম্প।

পাঁচ. যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, যে রাজ্যে যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পপুলার ভোটে জিতেছেন সেই রাজ্যের সব ইলেকটোর তাকে ভোট দিতে বাধ্য হলেও ব্যতিক্রম কেবল নেব্রাস্কা ও মেইন। এ দুই রাজ্যের ইলেকটোররা যে দল থেকে জিতেছেন সেই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

এতোসব কিছুর পরও যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ না পান তবে কী হবে?

এক. সেক্ষেত্রে, ১৯ জানুয়ারির আগেই সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ।

দুই. পুনঃনির্বাচন করতে হবে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য।

Loading...

সর্বশেষ উত্তর ৩ জানুয়ারি। ফলাফল যার দিকেই যাবে সেই হচ্ছেন নতুন মার্কিন মুলুকের অধিপতি। চেয়ে আছে মার্কিনিরা, চেয়ে আছে বিশ্ব- আরেকবার নাভিশ্বাস বন্ধ করে।





Loading...

সম্পাদক ও প্রকাশক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close