ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেছেন, আমাদের এ সময়ে যে কারো চাইতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের প্রচুর অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা হিলারির রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচাইতে যোগ্য প্রার্থী তিনি।
মিশেল বলেন, আপনি যাকেই ভোট দিন না কেন এটা নিশ্চিত করুন যে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। হিলারিকে আমাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে এগিয়ে আসুন।
৩ নভেম্বর হিলারির নিজ প্রচারণামূলক ওয়েবসাইট ‘হিলারি ক্লিন্টন ডটকম’-এ সংযুক্ত করা হয়েছে ‘ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অন ভোটিং’ শিরোনামের ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ, যা ইউটিউবভুক্ত। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দেয়া এই ভিডিও ভাষণে মিশেল এ আহবান জানান।
ভিডিওটিতে মিশেলের বক্তব্যের পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারির বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র প্রর্দশন করা হয় আর তাতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে হিলারির বৈঠকের ছবিটিও।
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি বলেন, ভোট দেয়ার মাধ্যমে আমাদের পছন্দের প্রকাশ ঘটে, যে নেতাকে আমরা বিশ্বাস করি তাকে বাছাই করতে পারি। এর মাধ্যমেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতকে সাজাতে পারি। আর এ নির্বাচনে আমি আমার ভোটটি হিলারি ক্লিনটনকেই দিতে যাচ্ছি। আর আমি আপনাদের ভোটটিও হিলারিকে দেবার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
হিলারিকে ভোট দেবার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আমি হিলারিকে ভোট দিচ্ছি কারণ তিনি আমার চিন্তাকে ধারণ করেন। আমি হিলারিকে ভোট দিচ্ছি কারণ তার রয়েছে আইনজীবি পেশার অভিজ্ঞতা, আইনের অধ্যাপনা, আরকানসাসের ফার্স্ট লেডি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি, সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, আমি হিলারিকে ভোট দিচ্ছি কারণ তার রয়েছে সুনির্দিষ্ট ও বিস্তর পরিকল্পনা যা প্রকৃত অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনে আলাদা পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তাকে ভোট দিলে কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যায় আরো সহনীয় হবে, পরিবারগুলো সহজে তাদের বিল পরিশোধ করতে পারবে এবং শিশুদের স্কুলের আরো উন্নতিসহ আরো পরিবর্তন আসবে।
মিশেল বলেন, হিলারি তার কাজ করেছেন, এখন আমাদের কাজ করার পালা। সারাদেশ জুড়ে ভোট আমেজ। আমি এবং ওবামা দ্রুত ভোট দিতে যাচ্ছি। দ্রুত ভোট দেবার কাজটি সহজ নয়। যত দ্রুত পারুন আপনার ভোটটি দিন। লাখো আমেরিকানদের সঙ্গে ৮ নভেম্বরের ভোটের দিন আপনিও যোগ দিন।