স্পোর্টস ডেস্ক : গত ৩১ অক্টোবর বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যশোরে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। বিমানটা যখন ধীরে ধীরে রানওয়ে থেকে উড়তে শুরু করে, মিরাজ উঁকি দিয়ে ওপর থেকে সন্ধ্যার ঢাকা দেখেন মুগ্ধ চোখে। তাঁর মনে পড়ে পাঁচ বছর আগের স্মৃতি, ‘জীবনে প্রথম বিমানে উঠি ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট দলের হয়ে সেবার ভারতে গিয়েছিলাম। বিমানে আমার সিটটা ছিল জানালার কাছে। বিমান যখন আকাশে উড়তে শুরু করল বারবার উঁকি দিয়ে নিচের দিকে তাকাচ্ছিলাম অবাক চোখে। ফ্লাইট দিনের বেলায় হওয়ায় ওপর থেকে নিচের দৃশ্যগুলো দারুণ উপভোগ করেছিলাম।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দল দুটি দুই দিনের ম্যাচ ও তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল ভারতে। সব ম্যাচই ছিল পশ্চিমবঙ্গে। মিরাজদের প্রথম ম্যাচটা ছিল বহরমপুরে। জীবনের প্রথমবারের মতো হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা সেখানেই। হোটেলের প্রথম রাতটা কতটা কঠিন ছিল, সেটি বললেন তিনি, ‘দলের প্রত্যেকের জন্যই আলাদা রুম ছিল। প্রথম রাতে ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম।
মিরাজের ভীষণ মন খারাপ হতো বাড়ির কথা মনে পড়ে। সফর ২০ দিনের হলেও মনটা তাঁর ব্যাকুল থাকত বাড়ির জন্য, ‘তখন অনেক ছোট ছিলাম। নিজের ফোন-টোনও ছিল না। আব্বু-আম্মু আর ছোট বোনটার কথা মনে পড়লেই খারাপ লাগত। দলের ম্যানেজারের মাধ্যমে বাড়িতে ফোন দিতাম।’