‘মালাউনের বাচ্চারা বেশি বাড়াবাড়ি করছে’ এ বক্তব্যটি খোদ আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রীর। তিনি মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। উনার নাম এ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক। কয়েক সপ্তাহ আগেও এই ব্যক্তি জাতীয় দৈনিকগুলোতে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন স্বাধীনতা বিরোধীকে মনোনয়ন দেয়ার কারণে। অনেকেই বলেন, খোদ সরকারের ভেতরে, প্রশাসনে এখনো স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাতœারা ঘাপটি মেরে বসে আছেন-তারা এখন নিস্ক্রিয় থাকলে সরকারের দুর্বল মূহুর্তে এরা ফনা তুলে ছোবল দিবে। আর এই ছায়েদুল হক তিনি সরকারের দুর্বল মূহুর্তের অপেক্ষা না করে নিজের অবস্থা এবং অবস্থান জানান দিয়েছেন। তার এই উস্কানীমূলক বক্তব্যকি নাসির নগরের সন্ত্রাসী হামলার রশদ যোগায়নি।
দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। যিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ, সম্প্রদায়িতকার বিরুদ্ধে ক্রুশেড ঘোষনা করেছেন। ফলে ওই অপশক্তি তাকে বারবার হত্যা করার চেষ্ট করেছে কিনউত তিনি পিছপা হননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে ছাড় দিবেন না এবং কোনো রকম আপস করবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে জেল হত্যা মামলা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সফলভাবে বিচার কাজ সম্পন্ন করেছেন। দেশীয় ও আন্তজার্তিক চাপ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মানবতাবিরাধী অপরাধী ও যুদ্ধপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। এটা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সংকল্প।
তিনি বাবার মতই দৃঢ়চেতা। দেশ পরিচালনায় যেমন বিচক্ষনতার পরিচয় দিচ্ছেন। দেশকে তিনি দারিদ্রমুক্ত করে মদ্য আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তেমনি। দেশের শত্রু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি লাড়াই করে বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবও প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে তার ব্যক্তি জীবন হুমকীর মধ্যে ছিল এবং আছে এটার তিনি নিজেও জানেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন নাসির নগরের সংখ্যা লঘুদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নীরব। সেই প্রধানমন্ত্রীর অধিনস্ত একজন মন্ত্রী এ নিয়ে উস্কানী নিচ্ছেন। এটা ভাবা যায়ন। প্রধানমন্ত্রী কেন এখনো এ বিষয়ে কিছু বলছেন না সেটা বুঝতে পারছি না। তবে আশ্চর্য হচ্ছি। তিনিতো এসব বিষয় ছাড় দেননি-ছাড় দেননা। মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের সমর্থক, স্থানীয় প্রশাসন ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যান। কেউ ম“ দিয়েছেন কেউ সহায়তা করেছেন, কেউ সরাসরি অংশ নিয়েছেন, কেউ নীরব ভুমিকা পালন করেছেন। অবশ্য প্রতিবাদও করেছেন কেউ কেউ-তবে সংখ্যাটা কম। অনেক পথচলা, অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে অর্জিত ভাবমূর্তি বিনষ্ট যারা করলো তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রীকে প্রায় দেখা যায় বিভিন্ন ঘটনায় নিজে দায়িত্ব নেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায়ও তিনি সেটাই করে জানান দিবেন, মন্ত্রী এমপি যেই হোননা কেন অপরাধ করে আর যাই হোক অন্তত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কাছ থেকে পার পাওয়া যায়না।
আমাদের সময়.কম