১২ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ইং, সোমবার ২৮শে ভাদ্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


ঈদে যাত্রাপথে বমি বমি ভাব


Amaderbrahmanbaria.com : - ০৯.০৯.২০১৬

অনলাইন ডেস্ক : কয়েকদিন বাদেই ঈদ, অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন আবার অনেকেই যাবেন। কেউ যাচ্ছেন বাসে, কেউ ট্রেনে কেউবা নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে। কিন্তু সমস্যা হল গাড়ীতে চাপলেই বমি বা বমি বমি ভাব শুরু হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় “Motion Sickness” । তবে সবচেয়ে প্রচলিত থিওরী হল এটা হয় স্নায়ু-বিষক্রিয়ার (neurotoxins) বিরুদ্ধে আমাদের শরীর প্রতিরক্ষার জন্য।

অনেক ধরনের বিষ আছে যেগুলো আমাদের শরীরে ঢুকলে হ্যালুসিন্যশন সৃষ্টি করে (যেমন ধুতরা). এটা হলে আমাদের শরীর প্রতিরক্ষা ব্যাবস্তা নিজে থেকে বমি করিয়ে সিস্টেম পরিস্কার করতে চায়।

গাড়ি চলার সময় আমদের অন্তঃকর্ণ গতি সেন্স করে। কিন্তু আমাদের চোখ সেই গতির সাথে একমত প্রকাশ করে না। যেমন বাসের চেয়ার, লোকজন সব স্থির। তখন আমাদের মস্তিস্ক ধরে নেয় হয় চোখ অথবা কান ভুল দেখছে অথবা ভুল শুনছে। অন্যকথায় হ্যালুসিন্যশন! তার মানে শরীরে স্নায়ূ বিষক্রিয়া হয়েছে! অতএব প্রতিকার স্বরুপ হয় বমি। যদিও বমি করলেও এটা স্নায়ুর ইমবেলেন্স ঠিক হয়না অতএব বমি এবং বমি-বমি ভাব চলতে থাকে।

৩৩% ভাগ লোকের মোটামুটি মুভমেন্টেই মোশান সিকনেস হয়। মুভমেন্ট তীব্র হলে আরো ৩৩% ভাগ লোকের মোশান সিকনেস হয়। বাকি ৩৩% লোকের মোশান সিকনেস হয়না। মানে তাদের স্নায়ু বিষক্রিয়া ব্যাবস্থা অকেজো!

এর মনে হয়না কোন প্রতিকার আছে । অনেকের বমির ঔষধ খেলে কাজ হয়। ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়াটাই ভালো ।

বাসে চড়লে এমন যায়গায় বসা উচিত যেখান থেকে বাইরের চারপাশ দেখা যায়। চলন্ত অবস্থায় বই বা পেপার পড়ে চোখের সামনে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি না করাটাই ভালো । কেউ গাড়ি চালালে তার কোনো সমস্যা হয়না কারন হয়তো চোখ মুভমেন্ট দেখতে পায় বলে ।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close