১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ইং, রবিবার ৩রা আশ্বিন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
  • প্রচ্ছদ » slider 3 » হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকার পরও তবুও কমছে না দাম


হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকার পরও তবুও কমছে না দাম


Amaderbrahmanbaria.com : - ১২.০৯.২০১৬

নিউজ ডেস্ক : কোরবানির হাটে দেশি ও ইন্ডিয়ান মিলে গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কমছে না দাম। ঈদের আগের দিনেও দাম ছাড়ছেন না গরু ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে গিয়ে গরুর দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। আবার দাম বেশি হওয়ায় অনেক গরু অবিক্রীত থাকার শংকা দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে ও প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই জানা গেছে।

এবার কোরবানির হাটে শুরুর দিকে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বাড়ে। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই অপেক্ষা করতে থাকে পরবর্তীতের কেনার জন্য। গত তিনদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাগঞ্জসহ সীমান্তের জেলাগুলোর হাট ছেঁয়ে গেছে ভারতীয় গরুতে। ভারতীয় গরু ঢুকে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন হাটেও। এতে দাম কমে যাওয়ার শংকায় পড়ে দেশি গরু বিক্রেতারা। কিন্তু ভারতীয় গরু আসাতেও বাজারে গরুর দামে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। অনেক ক্রেতা বাধ্য হয়ে ছাগল, ভেড়া কিনে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে পশু না কিনেই ফিরেছেন। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, একটা ভারতীয় গরু সীমান্ত পার করে রাজধানী পর্যন্ত আনতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। রয়েছে পরিবহন খরচ। ইজারাদারের মাসুল। তাই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। ফলে গরু থাকলেও বাজারে প্রকৃত ক্রেতা কমে গেছে। যারা আছেন তাদের বড় একটা অংশই দর্শনার্থী।

রাজধানীর আফতাবনগর গরুর হাটের কয়েকজন ব্যাপারি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাজারে ক্রেতা কম। অনেকেই এসে দর করে চলে যাচ্ছেন, কিনছেন না। অনেক গরু এবার ফেরত যাবে বলে মনে হচ্ছে। সেটা হলে চরম বিপদে পড়তে হবে। কারণ পথে পথে চাঁদা দিয়ে, অনেক টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে গরু ঢাকায় আনতে হয়।

রাজধানীর মতো প্রায় একই চিত্র দেশের অন্যান্য এলাকার গরুর হাটেও। সেখানেও গরুর দাম চড়া। তবে ঢাকার চেয়ে প্রতি গরু স্থানভেদে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আজ সোমবারও ভারতীয় গরু আসছে। তবে পথে কয়েক জায়গায় গরু প্রতি চাঁদাবাজদের ১১শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের। আর এই চাঁদা আদায় করছে বিট মালিকদের ক্যাডাররা। জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সদর উপজেলার বাখের আলী, জহুরপুর ও বকচর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর ও মনোহরপুর বিটে ভারত থেকে গরু আসছে। প্রতিদিন বিটগুলোতে প্রায় ৫ হাজার গরু আসছে এবং বাংলাদেশে পাঠানোর অপেক্ষায় ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে আরও প্রায় দেড়লাখ গরু রয়েছে বলে জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গরু ব্যবসায়ী জানান, ভারত থেকে গরু আনতে বিএসএফকে প্রতিজোড়া গরুতে ২০ থেকে ২৫ হাজার ভারতীয় রুপি এবং লাইনম্যানদের দিতে হচ্ছে প্রতিজোড়া গরুতে ৬ থেকে ৮ হাজার রুপি। তারপর গরুগুলো বাংলাদেশে আনার সময় করিডোরের কাগজের জন্য ৫শ’ টাকা ছাড়াও পথে পথে বিটমালিকের নিয়োজিত চাঁদাবাজরা গরু প্রতি ১১শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এর ফলে দেশে গরুর দাম বেশি নিতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বাধ্য হয়েই তা বেশি দামে কিনছে। গতকাল রবিবার জেলার বিভিন্ন বিটে প্রায় ৫ হাজার গরু এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন প্রতিদিনই ভারত থেকে গরু আসবে বলে গরু ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। বিডি প্রতিদিন





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close