যে কোন সময় যুবদলের কমিটি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি। শুরুতে শীর্ষ পর্যায়ের ৫ জনের নাম ঘোষণা হবে, যাকে সুপার ফাইভ বলা হয়ে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময় এই সুপার ফাইভ। নতুন কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে যাদের ত্যাগ রয়েছে তারাই এবারের কমিটিতে আসছে।
যুবদলের কমিটি ঘোষণা হতে পারে এধরণের খবর প্রকাশের পর আকাংখিত পদ পেতে নেতাকর্মীরা অনেকেটাই নড়েচড়ে বসেছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনাও চলছে। পদে আসতে চান এমন অনেকেই দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে জোর লবিং অব্যাহত রেখেছেন। ত্যাগী ও নিবেদিতদের আনা হতে পারে এবারের কমিটিতে। তবে বিতর্কিত ও সুবিধাভোগীদের দু’এক জনের নামও শোনা যাচ্ছে নতুন কমিটিতে। যার কারণে সংগঠনটির মধ্যে উৎকণ্ঠাও দেখা দিয়েছে।
বিএনপির কাউন্সিলের পর পরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও নানা কারণে তা হয়ে উঠেনি। যুবদলের শীর্ষ পদের জন্য বিবেচনায় থাকা কোনো কোনো নেতাকে স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সম্পাদকীয় কিংবা সহ-সম্পাদকীয় পদেও দেখতে চায় দলের হাই কমান্ড। তবে নেতাকর্মীদের আশা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামসহ সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশে¬ষণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন যুবদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
এদিকে, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও ঢাকা মহানগর কমিটি এবার পৃথকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতারাই পথম পছন্দ বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। তবে যুবদলের বর্তমান নেতাদের একটি অংশ চাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকেই যেন সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়া হয়। সে হিসেবে বর্তমান কমিটির অনেক নেতাও নেমেছেন পদের লড়াইয়ে।
উল্লেখ্য, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাইফুল আলম নীরবের নেতৃত্বাধীন যুবদলের বর্তমান কমিটি গঠিত হয় ২০১০ সালে। প্রতি তিন বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা হয়ে উঠেনি। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ইতিমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম-মহাসচিব পদ পেয়েছেন। তাই, যুবদলে তার আর স্থান হচ্ছে না।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের নতুন কমিটিতে বর্তমান কমিটির ‘সক্রিয়’ নেতাদের কেউ বাদ পড়লে তাদেরকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি অথবা বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। কাউকে কাউকে যোগ্যতা অনুযায়ী মহানগর বিএনপিতেও পদ দেয়া হবে।
যুবদলের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মধ্যে তুলনামূলক কম বয়সী, যারা মেধাসম্পন্ন ও স্বেচ্ছাসেবী, তাদেরকে যুবদলের দায়িত্ব দেয়ার জন্য চেয়ারপারসন বেশি চিন্তা-ভাবনা করছেন। এ ছাড়া তুলনামূলকভাবে একটু সিনিয়র হওয়ার কারণে ছাত্রদল থেকে বাদ পড়ে যারা বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান তাদের মধ্যে থেকেও অনেকে আসবেন।