রাজনীতিতে ৫ বছর নিষিদ্ধ হচ্ছেন খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। সহিংসতার অভিযোগ এনে খালেদাকে রাজনীতি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অভিশংসনের পক্ষে সংসদের চলতি অধিবেশনেই ভোটাভোটি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি উঠার প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এই সিদ্ধান্ত আসছে।
সিদ্ধান্তটি পাসের জন্য ৩৫০ সদস্যবিশিষ্ট সংসদের ১৭৬ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। এটি পাস হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ন্যায় কোনো বিশেষ ট্রাইবুনালে হবে খালেদার বিচার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন সংসদ সদস্যর সাথে আলাপকালে এমনই তথ্য জানা গেছে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “অপরাধীর স্থান অফিসে হতে পারে না। অপরাধীর স্থান জেল খানায়, অন্য কোথাও নয়। সংসদ চায় অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হোক। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসে গেছে।”
এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, “আওয়ামী নেতারা ভুলে গেছে, দেশের মালিক জনগণ। কোনো ভোটারবিহীন সরকার বা সংসদ নয়। এহেন আস্ফালনকারীরা নিশ্চয় জনগণের স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না।”
উল্লেক্ষ্য, ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ১০ম জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যাই ২৭৩টি। ‘গৃহপালিত’ প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি সহ বাকি সব দলই সরকারের কোয়ালিশন পার্টনার।
primenews.com.bd