রোহিঙ্গাদের আপত্তিতে প্রত্যাবাসন স্থগিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের কেউ স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান না বলে জানা গেছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েইে আজকের মতো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এর আগে, বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের উনচিপাং এলাকার ২২ নম্বর ক্যাম্পে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জড়ো করার পর তারা ‘ন যাইয়ুম, ন যাইয়ুম’ (যাবো না, যাবো না) স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঐ ক্যাম্প থেকে আগামী তিন দিনে প্রত্যাবাসিত হওয়ার জন্য ২৯৮ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের খাবার ও জরুরি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ বাসে করে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। এসময় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
তবে এতো কিছুর পরও রোহিঙ্গাদের কেউ বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে ফিরে যেতে রাজি নয়। তাই তাদের বাসে ওঠার আহ্বান জানালে ‘ন যাইয়ুম, ন যাইয়ুম’ (যাবো না, যাবো না) বলে স্লোগান শুরু করে।
বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কয়েকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা যায় যেখানে তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে।
রোহিঙ্গাদের ফেরার বিষয়টি যে স্বেচ্ছায় হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে গত মঙ্গল ও বুধবার প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা প্রথম ৫০টি পরিবারের সাক্ষাতকার নেয় ইউএনএইচসিআর।
তাদের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন বুধবার রাতে তা ঢাকায় পাঠায় সিদ্ধান্তের জন্য।
ওই প্রতিবেদনে ইউএনএইচসিআর কী মতামত দিয়েছে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, তারা বলেছে, ওই তালিকায় থাকা একজনও বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নয়।
ইউএনএইচসিআর বলে আসছে, জোর করে কাউকে ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না। এতে তাদের জীবন আরও ঝুঁকিতে পড়বে।