শুক্রবার, ৯ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ২৫শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘‌‌‌‌‌ঐক্যফ্রন্ট তার মুক্তি চায়নি, জামিন চেয়েছে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন রাজবন্দিদের মুক্তিতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।বুধবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি সত্যিই রাজবন্দি হয়, তা হলে তাদের মুক্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কোনো আপত্তি নেই।প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীর হাতে তালিকা তুলে দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তার মুক্তি চায়নি, জামিন চেয়েছে। আদালত যদি জামিন দেন, তা হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।তিনি জানান, সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে। এই প্রস্তাব সংবিধানের বাইরে হওয়ার কারণে এটি মানার সুযোগ নেই।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন পেছালে কোনো অসাধু শক্তি সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। কাউকে এমন সুযোগ করে না দিতে ফ্রন্ট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর নজির বিশ্বে কোথাও নেই।এ ছাড়া নির্বাচনকালীন ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের বিষয়ে ফ্রন্টের প্রস্তাবও সংবিধানবহির্ভূত বলে নাকচ করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি গাড়ি, সুবিধা ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারবেন না। বিরোধী প্রার্থীদের মতো ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা আসুন-আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। একটা ভালো নির্বাচন হবে। গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো কারচুপি হবে না। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা থাকতে চাইলে পারবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের অ্যালাউ করলে তারা তা করতে পারবেন।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ