এবার না খেয়ে চলে গেলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা
প্রথম দফায় সংলাপের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে জেএসডি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব গণভবনে নৈশভোজ নিয়ে বলেছিলেন, আমরা তো যাচ্ছি আলোচনার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। যদিও পরবর্তীতে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন অনেকেই। সে নিয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছিলে।মাহমুদুর রহমান মান্না ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এই সরকার ছোটলোক খাবারের ছবি প্রকাশ করে’। আসলে খেতে নয়, সরকারের সঙ্গে দেশ ও জাতি বিষয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু নিন্দুকেরা কেন যেন এই বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে বারবার খাওয়া-দাওয়ার মেন্যু নিয়েই আলোচনা করছেন এমন অভিযোগ ছিল তার।
বুধবার দ্বিতীয় দফার সংলাপে দুপুরের খাবার না খেয়ে গণভবন থেকে বের হয়ে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজকে খাবারের মেন্যুতে ছিল- স্ন্যাক্স, চিংড়ি ভাজা, স্যান্ডউইচ, নুডুলস, চিকেন রোল, ভেজিটেবল রোল, ফিশ কাটলেট, ফল, বিভিন্ন ফলের জুস, চা ও কফি।এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সংলাপ শুরু হয়। এই সংলাপে নিজ নিজ জোটের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেন। এর আগে সংলাপে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরই গণভবনে পৌঁছান ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের অন্য নেতারা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারাও একে একে গণভবনে প্রবেশ করেন।
আজকের সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা আবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।গত ৩১ অক্টোবরও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হয়। সেদিন খাবারের মেন্যুতে রাখা হয়েছিল পিয়ারু সরদারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।
সূত্র:বাংলাদেশ জার্নাল