সংসদ ভেঙে উপদেষ্টা সরকার গঠনের প্রস্তাব নাকচ
ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ হয়েছে। এতে সরকারবিরোধী জোটের পক্ষ থেকে সংসদ ভেঙে দিয়ে ১০ সদস্যের নির্দলীয় উপদেষ্টা সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলে, তা নাকচ করে দেওয়া হয়। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন সংলাপ ভালো হয়েছে।বেলা ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসে ঐক্যফ্রন্ট। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একে একে ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ঐক্যফ্রন্টের ১১ নেতা গণভবনে প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, দলের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, দলের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
সংলাপে সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছিলেন, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মণি, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, স ম রেজাউল করিম, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু।
একটি সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ উপদেষ্টা নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা সংলাপের গণভবনে এসে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব দেয়। তবে আওয়ামী লীগ এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। জবাবে তারা বলেছে, এটা সংবিধান সম্মত না, এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।এছাড়া সংসদ ভেঙে দেওয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আবারো জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি দাওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানা গেছে।