নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে উধাও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, এরপর…
১ নভেম্বর (বৃহষ্পতিবারে) শুরু হওয়া পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল মো. আলমগীরের। কিন্তু পরীক্ষায় কেন অংশ নেয় নাই সেসব তথ্যাদি জানতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।জানা যায়, জেলার পানছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর সদর পানছড়ি ইউপির আইয়ুব নগর গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে আলমগীর। সে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। জেডিসি পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপও করেছিল। মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী দমদম গ্রামের মো. মোছাদের মেয়ে শান্তার প্রেমে পড়ে পাড়ি জমায় তারা অজানার উদ্দেশ্য।
অত:পর ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কোর্টে গিয়ে দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সম্প্রতি এলাকায় আসে। এসব তথ্যাদি জানালেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলমগীর। তাদের বর্তমান বয়সের ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানায়, শান্তার বয়স (১৮) ও আমার ১৯।কিন্তু মাদ্রাসায় ভর্তি রেজিষ্টার অনুযায়ী আলমগীরের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০৩ ও শান্তার বয়স ৩ জুলাই ২০০১। সে অনুযায়ী শান্তার দু’বছরের ছোট আলমগীর। বয়স কোনটা সঠিক জানতে চাইলে আলমগীর সোজাসুজি জানায়, জন্ম নিবন্ধন দু’নম্বরী করে বিয়ের কার্যাদি সম্পন্ন করেছি। এ দিকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের সাথে নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের খবর জানাজানি হলে উপজেলার বিভিন্ন চায়ের আসরে জমে মুখরোচক আলাপ।
আলমগীরের বাবা বাচ্চু মিয়া জানায়, আমার মান সম্মান সব গেছে। মানবিক কারণে ছেলে এবং মেয়েকে ঘরে নিতে বাধ্য হয়েছি।
পানছড়ি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা বড়ুয়া বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। যেহেতু পানছড়ি উপজেলার বাহিরে গিয়ে তারা এ কাজ সম্পন্ন করেছে তাই আমাদের কিছুই করার ছিল না। ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবককে ডেকে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া এবং বিয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ মা-বাবার হেফাজতে থাকতে তাদের পরামর্শ দিয়ে মুচলেকা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে কাজ করবে এবং তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নিবেন বলে নিশ্চিত করেন।