শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে প্রস্তুত ইসলামি দলগুলো
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সাথে ক্ষমতাসীনদের যে সংলাপ চলছে তারই অংশ হিসেবে ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সাথে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এসব দলের মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ঐক্যজোট, মুসলিম লীগ, জাকের পার্টি, সম্মিলিত ইসলামী জোটসহ ছোট ছোট কয়েকটি দল।সদ্য গঠিত সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে তখনই এসব সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংলাপের মাধ্যমে কী দাবি আদায় করতে চাইছে ইসলামি দলগুলো- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের যে দাবি বা বিতর্ক তা সমাধানের লক্ষ্যে আইনগত ও সাংবিধানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা বাঞ্ছনীয়।
তিনি মনে করেন, এই বিষয়ে একটি স্থায়ী আইন করা প্রয়োজন, যেন ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় এবিষয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি না হয়।সংলাপে ইসলামি দলগুলোর দাবি কী-এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, সারা দেশে হাজার হাজার আলেম ওলামা মামলায় জর্জরিত, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব, তাদের এসব মামলা যেন প্রত্যাহার করা হয়।নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে সেই দাবিও জানাবে ইসলামী দলগুলোর নেতারা।
এদিকে ইসলামি দল ও জোটগুলো শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ আরো অনেক দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বা সংসদ রেখেই নির্বাচন হওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। আমাদের দেশেও ঐ পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।পরবর্তীতে নির্বাচনের সময় যেন এই প্রশ্নে আর বিতর্ক তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারসহ একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই নেতা।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
