শনিবার, ১০ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ২৬শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেএমবির নেতা নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খোরশেদ আলম ওরফে মাস্টার (৩৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব-নামুজা সড়কের তাঁতিপুকুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। পুলিশ বলছে, নিহত খোরশেদ আলম নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তি শামিল ওরফে সাগর ওরফে আতিক ওরফে উদয় নামেও পরিচিত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, একটি শুটারগান, তিনটি তাজা গুলি, একটি বর্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

পুলিশের তথ্যমতে, নিহত খোরশেদ আলম মাস্টার জেএমবির বর্তমান আমির ও প্রধান সমন্বয়ক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে জঙ্গি হামলার প্রধান পরিকল্পক। নির্বাচনে জঙ্গি হামলার জন্য খোরশেদ আলম মাস্টারের নেতৃত্বে গত ৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের মাওনায় গোপন বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে ফেরার পথে ৫ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, চাকুসহ শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ জেএমবি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জেএমবি নেতারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনা বৈঠকের কথা ফাঁস করে দেন। এরপর থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল খোরশেদ আলম মাস্টারকে।

বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে জঙ্গিরা শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব-নামুজা সড়কের তাঁতিপুকুর এলাকায় ওত পেতে ছিল। এ সময় শিবগঞ্জ থানা-পুলিশের একটি টহল দল সেখানে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে তিনি জঙ্গিনেতা খোরশেদ আলম মাস্টার বলে পরিচয় দেন। তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।

সনাতন চক্রবর্তী বলেন, গত ৩ আগস্ট বগুড়া জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর দুর্গম চর দিয়ারায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, এক কেজি বিস্ফোরক পাউডার, আধা লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামসহ জেএমবির সামরিক শাখার দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।