ইসলামের দৃষ্টিতে শারীরিক মিলনের নিয়ম
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। দৈনন্দিন প্রতিটি কর্মেই ইসলামের বিধান রয়েছে। আর ইসলামের বিধান অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করলেই তা আমলের জিন্দিগীতে প্রবেশ করে। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসেরও কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। হাদিসে বিভিন্ন আসনে সহবাস করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। তাছাড়া সহবাসের কিছু বিধিনিষেধও রয়েছে যা আলোচনা করা গেল-
০ রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে এবং কোন গাছের নিচে ও খোলা মাঠে স্ত্রী সহবাস করবে না।
০ উল্টাভাবে ও পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ভরা পেটে ও জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
০ সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন। তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন। স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস। তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে কোন সময়ে শারীরিক মিলন করা হারাম? জেনে নিন…
০ স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না। তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ।
০ রবিবার, বুধবার ও বিদেশ যাওয়ার আগের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করবেন না।
০ স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেননা। সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না।
০ স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে ও নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখেজ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।
০ চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় ও স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না।