সংলাপে গুরুত্ব পায় যে ৪ ইস্যু
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। বুধবার গণভবনে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এ সংলাপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পায়।বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, আজকের সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের আগের সাত দফা দাবির পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
এসব আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় সংসদ ভেঙে দিয়ে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবটি ছিল-দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংসদ ভেঙে দেয়া। সেই সঙ্গে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তবে এ দাবিটিতে একমত হননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোরালো আরেকটি দাবি সংলাপে উঠে আসে। সেটি হচ্ছে- নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া। এ দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাব ছিল সেনাবাহিনী নির্বাচনকালে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকে। বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে না।সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেকটি দাবি বেশ গুরুত্ব পায়। সেটি হচ্ছে-নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। এ দাবিটি সরাসরি মেনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য ছিল-নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচন কমিশন এটি নিশ্চিত করবে।
সংলাপে আরও একটি বিষয় ঘুরেফিরে আসে। সেটি হচ্ছে-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও মুক্তি।প্রসঙ্গত গত ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ১৪-দলীয় জোট। আজ দ্বিতীয় দফা সংলাপ হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে।