ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন দুটো বাচ্চা আর এক বৃদ্ধকে, বাচ্চা দুইটির…………….
স্নায়ুর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আঞ্জুমান। সেখানে তিনি মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন। শেষ বারের জন্য বাচ্চা দু’টোকে দেখতে চেয়েছে। তাই তাদের নিয়ে যাচ্ছেন উনার বাবা ফালান মিয়া।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন দুটো বাচ্চা আর এক বৃদ্ধকে। বাচ্চা দুইটির সাথে বাসে দেখা, মিষ্টি মেয়েটিকে দেখে আদর করে দিয়ে প্রশ্ন করলাম বেড়াতে যাচ্ছো? বললো মাকে দেখতে যাই।
এই দুধের বাচ্চা মায়ের কোলে থাকার কথা, মা দেখবে মানে কি? বাচ্চটির সাথে এক বৃদ্ধ, বাচ্চাটির মা এর কি হয়েছে প্রশ্ন করতেই জানালো, ওদের মা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে, শেষ বারের জন্য বাচ্চা দুটোকে দেখতে চেয়েছে তাই নিয়ে যাচ্ছেন নানা।আঞ্জুমান হচ্ছে ফালান মিয়ার মেয়ে। মেয়ের দুর্দশা ও তার সন্তানদ্বয়ের আহাজারির কথা বলতে বলতেই বৃদ্ধের চোখ দিয়ে পানি আসতে থাকলো।
বার কয়ের প্রশ্ন করে জানলাম, বৃদ্ধের এক মাত্র মেয়ে, চিকিৎসা খরচের অভাবে চিকিৎসা স্হবির, বাচ্চাদের বাবা গ্লাস ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করে, কিছু যে বিক্রিয় করবে তেমন কিছু নাই, কারো কাছে যে হাত পাতবে সে অভ্যাস নাই। চারলক্ষ টাকা হলে চিকিৎসা সম্ভব, বৃদ্ধ পাবে মেয়েকে, বাচ্চা দুটো পাবে ওদের মা কে।মাত্র চার লক্ষ টাকা জীবন মৃত্যুই শুধু নয় আরও কয়েকটি জীবনের বাঁচার অবলম্বনের মাঝে দাগ টেনে দিচ্ছে। বৃদ্ধা অঝোরে কাঁদছিলো, বাচ্চা দুটো এতই ছোট যে টাকা না চিনলেও চোখের পানি চিনে। শুধু চিনতে পারিনা আমরা,আমরা কি আসলেই এতটা কঠিন? আমরা কি পারিনা বাচ্চাটার মা কে ফিরিয়ে দিতে?
হাসপাতালর খোজ নিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধের মেয়ে এবং বাচ্চা দুটোর মা, স্নায়ুর রোগ জিবিএস ভাইরাসে এ আক্রান্ত হয়ে ডা: শহিদুল ইসলামের তত্বাবধানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আইসিইউ বেড নম্বার ৮ চিকিৎসাধীন আছেন। রোগীর নাম আঞ্জুমান ।রোগীর শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে গিয়েছে এবং ধ্রূত পুরো শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে। এইমুহুর্তে চিকিৎসা শুরু করলে সুস্হ করা সম্ভব নয়তো নিশ্চিত মৃত্যু। ডাক্তার জানিয়েছে চারটি ইজেকশন দিতে হবে, প্রতিটির দাম এক লক্ষটাকা। জীবন মৃত্যুর মধ্যে দাগ টেনে দিচ্ছে এই চার লক্ষ টাকা।
আপনারা চাইলেই পাশে দাড়াতে পারেন। আমরা সবাই একটু একটু করে চেস্টা করলে হয়তো একটি জীবন বাঁচবে, এক বৃদ্ধের সন্তান বাঁচবে, দুটো শিশু মাকে ফিরে পাবে। কিছু টাকার জন্য এত ছোট বাচ্চারা মা হারালে আপনারা কিভাবে নিজেকে বিবেক কে ক্ষমা করবেন? দেখুন না একটু চেস্টা করে। সবাই মিলে একটু করে আমরা কি চেস্টা করতে পারিনা?
সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুণ:
আঞ্জুমানের বাবা ফালান মিয়া,
মোবাইল :01931972618
রোগীর স্বামীর নাম ওয়াশিম
মোবাইল : +8801836108111 (নাম্বারগুলো বিকাশ করা হয়)
উল্লেখ্য, লেখকের প্রচেষ্টায় িইতিমধ্যে ৪৫হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছে। প্রয়োজনে উনার সাথে যোগাযোগ করা েযাবে। মোবাইল: 01922773399. #সংগৃহীত