সুষ্ঠু তদন্তেই আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচন হতে পারে
গৌতম বুদ্ধ মাকে নিয়ে একটি উক্তি লিখেছেন তিনি বলেছেন, ‘মা যেমন তাঁর নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণির প্রতি অপরিমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে’।
এখানে স্পষ্ট যে, একজন মা তার সন্তানকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করবে, আর মায়ের আশ্রয় হচ্ছে সব থেকে নিরাপদ স্থান, ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার পর মা তার সন্তানের মুখখানি দেখতে পারে, তখন মায়ের সব কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যায়, তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে যায়, মা-বাবার লালন পালন করতে থাকে নিজের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে।
কিন্ত গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা শহরে ঘটে এক মর্মস্পর্শী হৃদয়বিদারক ঘটনা। ৪ দিনের নবজাতক সন্তানকে বহুতল বিশিষ্ট একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে, আগে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে পরে নিজে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মা সীমা আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী।
সীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। মনির লেবানন প্রবাসী। গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
সীমার মা রেহানা বেগম জানান, চারদিন আগে প্রসবজনিত ব্যথা উঠলে জেলা শহরের লাইফ কেয়ার শিশু জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই সীমা একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে প্রবাসী স্বামীর সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ফোনে তর্ক-বিতর্ক হয়। এরই জেরে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দি ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৪ তলা ভবনের উপর থেকে নবজাতকসহ সীমা ঝাঁপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়।
এই মৃত্যুই সমাধানের পথ হয়নি, ফেসবুকে ভাইরাল এখন মাসহ সেই ৪ দিনের নবজাতকের রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নিতর দেহটি, বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, আবেগ অাপ্লুূত হয়ে লিখছেন যে, হাসপাতালের বিল বাণিজ্যের কারণেই হয়ত তাদের এই অপমৃত্যু, যা কোন ভাবেই কেউ মেনে নিতে পারছে না। এখন সবার মনে প্রশ্নের জুড়ি রেখে গেছেন তারা।
সবার ধারণা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই হয়ত আত্মহত্যার আসল রহস্য উন্মোচন হতে পারে।