শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে বাদ জুমা তাঁর প্রথম জানাজা হবে।
পরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মগবাজারে তাঁর নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে।
আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজাহবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে এই শিল্পীর মরদেহ ফের হিমঘরে রাখা হবে।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁরা এলে চট্টগ্রামে শনিবার মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু মারা যান। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক।
গিটারের জাদুকর হিসেবে আইয়ুব বাচ্চুর সুনাম ছিল।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের এনায়েতবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ ইসহাক ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তাঁর পথচলা শুরু। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট।
আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবাম এলআরবি বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এলআরবিই দেশের প্রথম ডাবল ও আনপ্লাগড অ্যালবাম প্রকাশ করে। সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারি মন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ এলআরবির জনপ্রিয় অ্যালবাম।
একক গানেও আইয়ুব বাচ্চুর সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত রক্তগোলাপ তাঁর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। তাঁর সাফল্যের শুরু দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ময়নার মাধ্যমে। তাঁর অন্য একক অ্যালবাম কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কি, দুটি মন, কাফেলা, জীবনের গল্প ইত্যাদি। কিছু চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ‘আম্মাজান’, ‘অনন্ত প্রেম দাও আমাকে’, ‘সাগরিকা’ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।