টি-টোয়েন্টিতেও তাহিরের স্পিনে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বিধ্বংসী ইমরান তাহির। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেওয়া এই লেগ স্পিনার আবারও ভোগালেন জিম্বাবুয়ানদের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৪ রানের জয় এনে দিতে ৫ উইকেট নিলেন তাহির। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৭.২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
ইস্ট লন্ডনে টস জিতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি গড়ে অভিষেক হয় জিহান ক্লোয়েটের। সুবিধা করতে পারেননি দুজনের কেউ, প্রথম দুই ওভারেই বিদায় নেন তারা। মাত্র ২ রান করেন ক্লোয়েট, আর ৫ রান ডি কক।
১.৩ ওভারে ১১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় প্রোটিয়ারা। ফন ডার ডুসেন ও ফাফ দু প্লেসির জুটি এই ধাক্কা সামলে ওঠে। ২০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বিদায় নেন দু প্লেসি। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটি ছিল ৪১ রানের।
রানের এই গতি ধরে রেখেছিলেন ডুসেন ও ডেভিড মিলার। ৮৭ রানের জুটি ছিল তাদের। মিলারকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন কাইল জার্ভিস। পরের দুই ওভারে ফিরে যান ডুসেন ও জনকার। ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রান করেন ডুসেন।
জার্ভিস তার শেষ ২ ওভারে টানা দুটি উইকেট নেন, সব মিলিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে এই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার। দুটি উইকেট নেন ক্রিস এমপোফু।
জয়ের জন্য ছুটতে গিয়ে শুরুতে বিরাট ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পান তাহির। পরের ওভারে হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও তারিসাই মুসাকান্দাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন এই লেগ স্পিনার।
শন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেলর এই ক্ষত সারাতে ক্রিজ আঁকড়ে ধরেন। কিন্তু পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। জুনিয়র ডালা ১৯ রানে টেলরকে ফিরিয়ে ভাঙেন ২৯ রানের জুটি।
তারপর আবার তাহিরের স্পিন জাদু। নিজের তৃতীয় ওভারেও হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন উইলিয়ামস (২১) ও এলটন চিগুম্বুরাকে আউট করে। এবারও আক্ষেপে পুড়তে হয় স্বাগতিক এ স্পিনারকে। তবে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাহির।
৭০ রানে জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু ব্র্যান্ডন মাভুতা ও পিটার মুরের ব্যাটিং ঝড়ে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। তাদের এই প্রচেষ্টা থামান ডালা। ১৪ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ২৮ রানে আউট হন মাভুতা। তারপর আর ৩ রান করতেই বাকি দুটি উইকেট হারায় সফরকারীরা। মুর ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৪৪ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন।
তাহির ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স করেন। দুটি করে পান ডালা ও অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়াইয়ো।