কৌশলে ডেকে নিয়ে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিল ভাবী!
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে ভাবী। তবে, এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। অভিযুক্ত দেবর মাসুদ রানা, সে একই উপজেলার বেজোরাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
গত শনিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় ও পারিবারিক ভাবে সেটা প্রকাশ্যে আসার আগেই সেই রাতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভাবী নাজমা খাতুনের সাথে তার চাচাত দেবর মাসুদের অবৈধ সম্পর্ক ছিল । প্রথমদিকে, দেবরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠলেও ধীরে ধীরে সেটা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। ভাবী নাজমাকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়ে প্রতিনিয়ত অনৈতিক ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল মাসুদ কিন্তু পরবর্তীতে নাজমা খাতুন বিবাহের চাপ দিলে মাসুদ বিবাহ করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এরপর, গত শনিবার রাতে ভাবী নাজমা খাতুন নিজেই মাসুদকে ফোন করে কৌশলে ডেকে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে ভাবী ধারালো ছুরি দিয়ে মাসুদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এ ঘটনায় মাসুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মাসুদকে উদ্ধার করে গোপন ভাবে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ক্লিনিক কতৃপক্ষ জানান, গত শনিবার রাতে মাসুদকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তবে পরদিন অর্থাৎ রোববার তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হলেও রুগীকে এখনো নিয়ে যাওয়া হয়নি।
তবে এ বিষয়ে মাসুদের পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হিংসাত্মক মনোভাবে ডেকে নিয়ে এ কাজটি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী নাজমা খাতুনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে দেবহাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, লোক মারফতে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কোন পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানিয়ে কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে সেটার সত্যতা যাচাই করে আইনী ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।