ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬শতাধিক মন্ডপে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের সাজসজ্জা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আর কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় পূজাকে সামনে রেখে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা। বেশীরভাগ প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ। এখন চলছে রং-তুলির আচড় আর সাজসজ্জা। উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে জেলা জুড়ে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। শঙ্খের ধ্বনি আর ঢাকের তালে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এ বছর জেলায় ৬ শতাধিক পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা বাড়ায় অনেকটাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরী শেষে চলছে রংয়ের কাজ। তুলির আঁচড়ে রঙ্গিন হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো। এসব প্রতিমা যথা সময়ে ভক্তদের নিকট সরবরাহ করার জন্য জেলার শতাধিক প্রতিমা শিল্পিরা দিন-রাত জেগে কাজ করছে।
দেবী দূর্গা এবছর আসবেন নৌকায় করে আর গমন করবেন ঘোড়ায় চড়ে। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্যান্ডেল নির্মাণ সহ শেষ মূহুর্তের ব্যস্ততা। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এবছর জেলায় আনন্দঘন ও উৎসবমূখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, প্রতিমা মন্ডপে মন্ডপে সরবরাহের জন্য আমরা শেষ সময়ে এখন দিন-রাত কাজ করছি। তবে বাজারে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক মিলছে না।
জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি প্রণব কুমার দাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পূজার সংখ্যা বেড়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় এ বছর আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে বৃহৎ এ উৎসব পালনের নিরাপত্তায় প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালেন করবে। বরাবরের মত এ বছরও উৎসবমূখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে।