খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে সময় লাগবে আরও ২ সপ্তাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নতুন করে চিকিৎসা দিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে এনে নতুন চিকিৎসা দিতে হবে বিধায় এ সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মেডিসিন বিভাগের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে ডায়াবেটিস ও আর্থাইটিস (শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ব্যথা) সমস্যা ভুগছেন। তার বাম হাত বাঁকা হয়েছে এবং বাম কাঁধ তুলতে পারেন না, ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, বাম হাঁটু ফোলা, ব্লাড প্রেসারেরও সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া তার অ্যাজমা ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) সমস্যাও রয়েছে। উনার এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে তবেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিতে হবে। আমরা এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। আশা করছি, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিসসহ তার সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর পরই আমরা নতুন চিকিৎসা শুরু করতে পারব।’
তবে আগামীকাল থেকে খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া শুরু করা হবে বলে জানান মেডিকেল বোর্ডের প্রধান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আগে যেসব চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সেগুলো চলবে।
ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনের সমস্যা বেড়েছে বলেও জানান আব্দুল জলিল চৌধুরী।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাতের সময় তিনি তার রোগব্যাধি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এ ছাড়া মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরীও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
ওই দুই চিকিৎসক যখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যখন পৃথক পৃথকভাবে দেখা করেন তখন সেখানে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের ৬১২ নম্বর কেবিনে অপেক্ষা করেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। এ সময় তাদের সঙ্গে বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন ছিলেন।
মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের কার্ডিওলজির বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিনা পারভীন, অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নকুল কুমার দত্ত।
এর আগে শনিবার বিকেলে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।