‘পুরো দরজা খোলা ছিল, ক্যামেরা ট্রায়াল হলো কীভাবে’
খালেদা জিয়ার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, পুরো দরজা খোলাই ছিল। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হলো কীভাবে?
বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই প্রশ্ন রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) বিচারে দরজা তো খোলাই ছিল। তার আইনজীবীরা ভেতরে যান নাই। তাদের কোনও কোনও আইনজীবী গেটে গিয়ে বসেছিল। কিন্তু কোর্টের রুমে ঢুকে নাই। তারা অবাধে সবাই যাতায়াত করতে পেরেছে। এটা কীভাবে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি দাবি করছে টাকা রেখে দেওয়া হয়েছে। ৯১ সালে টাকা এলো, এত বছর রেখে দেওয়া হলো, এতিমরা টাকা পেলো না কেন? ২৫ বছর ব্যাংকে টাকা রেখে খালেদা জিয়া তার সুদ খেলো। আপন মনে করে টাকা রেখে দিলো। এতিমখানার যে ‘জিয়া অরফানেজ’ নাম দিলো এতিমখানা কই, তার ঠিকানা কই? ঠিকানাও দেখাতে পারেনি। এতিমখানাও দেখাতে পারেনি।
এতিমের টাকা চুরি করে কেউ জেলে গেলে, তার দায়-দায়িত্ব কার-এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমখানার নামে টাকা নিজে আত্মসাৎ করে বসে আছে। ১০ বছর বসে তার আইনজীবীরা প্রমাণ করতে পারলো না তিনি নির্দোষ। এ দোষটাও কী আমাদের সরকারের?
জেলখানায় আদালত বসানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নড়াচড়া করতে অসুবিধা হওয়ায় ওখানে কোর্ট বসানো হয়। কোর্ট বসেছে, খালেদা জিয়া হাজির হয়েছে। তার আইনজীবীরা যায়নি। মাত্র একজন আইনজীবী ছিল। তার আইনজীবী প্যানেল যায়নি। এই যে আইনজীবীরা গেলো না, এখানে আমরা কী মনে করবো? যে প্যানেল জানে খালেদা জিয়া দোষী, তাকে ডিফেন্স করে খুব বেশি লাভ হবে না, তাই কোনও ছুঁতো ধরে তারা বোধহয় তাকে আর ডিফেন্স করতে।
জেলের ভেতরে আদালত বসানো অসাংবিধানক-বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দলের জন্ম হয়েছে অসাংবিধানিক উপায়ে। সংবিধান লংঘন করে দল গঠনকারী যারা, তাদের কাছে আমাদের সংবিধান শিখতে হবে। এখানে অসাংবিধানিকটা কী হলো? তার মানে জিয়া অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় এসেছিল বলে সে জেলগেটে বিচার করতে পারবে, বাকিরা পারবে না।
সূত্র: ব্রেকিংনিউজ