জিন তাড়ানোর নামে কবিরাজের নির্মম কাণ্ড! অতঃপর…
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোলাবাড়ী বাজার এলাকায় জিন তাড়ানোর কথা বলে মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা (৫০) নামের এক নৈশপ্রহরী বুকের ওপর ওঠে লাফালাফি করার পরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গাবতলী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত বাদল মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে গাবতলী উপজেলার গোলাবাড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোফাজ্জল হোসেন উপজেলার চকমড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার জানান, মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা গোলাবাড়ী বাজারে নৈশপ্রহরীর চাকরি করতেন। মোফাজ্জল হোসেন গত বুধবার রাত ৯টায় দায়িত্ব পালনের জন্য গোলাবাড়ী বাজারে যান। রাত সাড়ে ১০টায় দিকে মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা গ্রামের কয়েকজন লোক গোলাবাড়ী বাজারে এসে মোফাজ্জল হোসেনকে তুলা রাশির লোক বলে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ধোরা গ্রামের বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মেয়ে জেমি খাতুন (১২) কে জিন ধরায় বুধবার বাড়ির আঙিনায় তাকে শুয়ে রাখা হয়। অপরদিকে মোফাজ্জলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জিন ধরা জেমির পাশেই শুয়ে রাখা হয় তাকে।
এরপর জিন তাড়ানোর কথা বলে নজরুল ইসলাম ভেটু নামের এক ভণ্ড কবিরাজ নৈশপ্রহরীর মোফাজ্জল হোসেনের হাত-পা বেঁধে পুরো শরীর চেপে ধরেন। তার বুকে কাঁধে ও গলায় পা দিয়ে জোরে একের পর এক লাথি ও মারধর করতে থাকেন। এ ঘটনায়র এক পর্যায়ে মোফাজ্জল হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ তাকে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন মোক্কাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নির্মম এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবু হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কবিরাজ নজরুল ইসলাম ভেটু সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে গাবতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।