‘পুত্রকে বাদশাহ সালমানের নতুন থাপ্পড়’
পিতা বাদশাহ সালমানের পরেই তার ক্ষমতা বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালের ২১ জুন মুহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজের পদ থেকে অপসারণ করে তার স্থলে মুহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ মনোনীত করা হয়।
যুবরাজ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মুহাম্মদ সালমানের এই ‘উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।’
উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তার নানা পদক্ষেপের কারণে আলোচনা-সমালোচনার জন্মদেন। বর্তমান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নানা পদক্ষেপের কারণে সৌদি রাজপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা শুরু হয়।
সম্প্রতি সেটি আরও প্র্রকট আকার ধারণ করে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের ভাইয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে। ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে কিছু দিন আগে বাদশাহর ভাই আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ লন্ডনে এক বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন।
ইয়েমেন যুদ্ধের সঙ্গে সৌদি রাজ পরিবার নয়, বাদশাহ ও তার পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত বলে মন্তব্য করেন বাদশাহর ভাই আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ। এতে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয় সৌদি বাদশাহ।
এমন সমালোচনা ঠেকাতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে ইতিমধ্যে যুবরাজের একাধিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেছেন বাদশা সালমান।
এ বিষয়ে সৌদি আরবের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আল খালিজের প্রতিবেদন অবলম্বনে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ ইতিমধ্যে যুবরাজের একাধিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি যুবরাজের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আরামকোর শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন সৌদি বাদশাহ।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন পক্ষপাতের সিদ্ধান্তকে না বলে দিয়েছেন বরং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে সৌদি আরব তাদের পাশে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদশাহ সালমান।
আল খালিজ বলছে, যুবরাজ একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন। এজন্য তার শাসনতান্ত্রিক বিষয়ের লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছেন বাদশাহ। ফলে বাদশাহ ও যুবরাজের মধ্যেও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছেন।
যুবরাজ সালমানের সিদ্ধান্তে বাদশাহ সালমানের এমন হস্তক্ষেপকে ‘পুত্রকে বাদশাহ সালমানের নতুন থাপ্পড়’ আখ্যা দিয়েছে আল খালিজ।