রক্তে লাল স্কুলছাত্রীর ড্রেস, জড়িয়ে ধরেছিল নিথর যুবক!
প্রেমে সাড়া না দেয়ায় রিমা নামের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মাসুদ (২৫) নামের এক যুবক। শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া জানান, পটিয়া থেকে রক্তাক্ত এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া স্কুলছাত্রী রিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, যুবকের দেহ নড়াছাড়ার সময় গোঙানীর শব্দ কানে আসে। তার পেটে ছুরির আঘাত রয়েছে। তবে স্কুলছাত্রীর পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষয়টি প্রেমঘটিত।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে যুবকটি প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে। আর সে নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। খুন হওয়া স্কুলছাত্রী পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার নাম রিমা আক্তার। উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি এলাকার বাসিন্দা। আর আহত যুবকের পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে স্কুলছাত্রী রিমা আক্তারের পরিবারে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলেই রহস্যের জট খুলতে পারে বলে জানান এসআই আলমগীর হোসেন।
জানা যায়, নিহত রিমা আকতার হাইদগাৎ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও হাইদগাৎ মহাজন পাড়ার মঞ্জুরুল আলমের মেয়ে।
মাসুদ নামে ওই যুবক স্কুলছাত্রী রিমাকে প্রেম নিবেদন করে সাড়া না পেয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর নিজের শরীরে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বিকেল ৩টার দিকে নিহত রিমার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুমের দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, বেলতল রেললাইনের পাশে নিহত স্কুলছাত্রীকে জড়িয়ে আহত যুবককে পড়ে থাকতে দেখে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল দুজনই মারা গেছে। পরে গোঙানির শব্দ পেয়ে যুবকের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ আহত যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।