এই ট্রেন সফর আমাদের নির্বাচনী যাত্রা: সেতুমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : এই ট্রেন সফর আমাদের নির্বাচনী যাত্রা। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এই ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নির্বাচনী সফর করবে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর লঞ্চযোগে নির্বাচনী সফর করব আমরা। এরপর সড়ক পথে আমাদের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কথা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার সকালে নির্বাচনী ট্রেন যাত্রার শুরুতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বাধনী বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষ যাতে বিএনপি জামায়াতের গুজবের রাজনীতির নিয়ে সচেতন হয়, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই ট্রেন সফর সাংগঠিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারের উন্নয়ন কাজ তৃণমূলে পৌঁছে দিতে এবং দলকে শক্তিশালী করতেই উত্তরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের ট্রেন সফর। ভবিষ্যতে নৌ ও সড়ক পথেও সফর করা হবে। সফরে উত্তরের বিভিন্ন স্টেশনে ১১টিরও বেশি পথসভা করার কথা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে তা নিরসন করা হবে। আমাদের এই যাত্রা তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করবে। কিছুদিন আগে আমরা রাজশাহীতে নির্বাচনী সফর করে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্যই আমাদের এই সফর। এর মাধ্যমে আমরা তৃণমূলের কিছু বার্তা দিতে চাই।
ট্রেন যাত্রার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সফর নিয়ে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোর, বগুড়ার শান্তাহার, জয়পুরহাট, আক্কেলপুর, দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেশনে পথসভা করা হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী এই ট্রেন সফরে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে আছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদিক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।