নির্বাচনে ডিসিদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ডিসিদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সব ডিসিদের বলেছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে দায়িত্বটা যেন তারা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পালন করেন।
তিনি বলেন, তাদের বলেছি, আগামীতে নির্বাচন আসছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছে। তাদের সক্ষমতাও যথেষ্ট বৃদ্ধি হয়েছে। ইলেকশন কন্ডাক্টে তাদের প্রয়োজনীয় জনবল, লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। যেগুলো বাকি আছে তা দেওয়া হবে।
ডিসি-এসপিদের সমন্বয় নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জবাবে মন্ত্রী বলেন, না এই ধরনের কোনো কথা আসেনি। আমি যে কথাগুলো বললাম, এর বাইরে তারা কোনো কথা জিজ্ঞেস করেনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ডিসিরা কারাগার নিয়ে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন কারাগারে ধারণ ক্ষমতার বেশি বন্দি রয়েছে। জঙ্গি উত্থানের পর মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়, সেজন্য দুটোর ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। সেজন্যই বন্দির সংখ্যা বেড়েছে, সেটা সবাই জানেন।
তিনি বলেন, বিচারাধীনদের বিচার কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় কিংবা বিচার কাজ শেষে যাতে প্রিজনে যেতে পারে সেজন্য আমরা বলেছি, ডিসিরা যেন মোবাইল কোর্টগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। যাতে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কাজ শেষ করতে পারেন। বিচারাধীন বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নতুন কিছু করা যায় কিনা- সেগুলো ডিসিদের বলা হয়েছে।
মাদক মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছি, বৈঠক শেষে একটা সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করি। এ বিষয়ে আমরা আবার আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো, উনি এ নিয়ে যা বলেছেন, হয়তো কোনো ধারণা থেকে বলছেন। আমরা তাকে আবারো বলব কনসিডার করার করতে।’
তিনি বলেন, আমাদের চার হাজার কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের বর্ডার রয়েছে। ৭০০ কিলোমিটারের বেশি কোস্টাল বর্ডার রয়েছে। তাদের প্রস্তাব ছিল সব জায়গায় আমরা কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারি কিনা। আমরা সবকিছু নিয়ে চিন্তা করছি। কোস্টাল বর্ডারের জন্য কোস্ট গার্ডকে যথেষ্ট শক্তিশালী করেছি। বিজিবির লোকবল বৃদ্ধি করেছি সেটাও আমরা বলেছি।’
‘‘বর্ডার এলাকায় কাঁটাতারের চেয়ে সরকার সীমান্ত সড়ক তৈরির বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে। এক বিওপি (সীমান্ত চৌকি) থেকে আরেক বিওপিতে যেতে রাস্তা তৈরি করতে আমরা প্রকল্প নিচ্ছি। এগুলো আমরা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি। বর্ডারে সেন্সর স্থাপন করে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা সাকসেসফুল হলে সারা বর্ডার এলাকায় এটা বসাবো”- জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের কথা বলেছেন। অনেক উপজেলায় সেটা হয়নি, সেটার কথা বলছিলেন তারা। আমরা কিছু জায়গায় জটিলতার কারণে যেতে পারিনি। ডুবুরির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবসহ জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।