দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থানে ঠাঁই করে নিয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ওয়াইব্রীজ
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: তিন উপজেলার মিলনস্থল হয়ে দাড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরস্থ ওয়াইব্রীজ। ত্রিমোহনায় সম্মিলন ঘটিয়েছে ত্রিমোহনার যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লার হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলাকে।
তিন উপজেলার এপ্রোচ রোড থেকে শিক্ষার্থী, কৃষক-কামার-কুমার-ব্যবসায়ী বা পথচারী ৫ মিনিটে চলে যাচ্ছেন যে যার গন্তব্যে। বেড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। গড়ে উঠছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক মোকাম। সে এক বিশাল এলাহী কান্ড। উৎসবের ব্রীজ হয়ে উঠেছে ওয়াইব্রীজ বা ত্রিমুখী ব্রীজ। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীড় করছেন এর স্থাপত্য শিল্প ও ব্রীজের উপর দাড়িয়ে নীচের মেঘনা নদীর পানি প্রবাহ সহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য। যুবক-যুবতীরা বাইকে এসে স্মার্ট ফোন নিয়ে সেলফী তুলছেন অবিরত।
এছাড়া-তীব্র তাপতাহ হতে রক্ষা, একটু স্বস্থির নি:শ্বাস ও হিমেল হাওয়ার পরশ বুলাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লার হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার সব শ্রেনী পেশার সব বয়সী মানুষ এখন ভীড় জমিয়েছেন উল্লেখিত তিন উপজেলার ত্রিমোহনায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়াইব্রীজে।
গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশের মতো বৃহত্তর কুমিল্লাতেও গরমে হাসফাঁস করছিলো শিশু থেকে বৃদ্ধরা। তখন হতে ভীড় করতে থাকে মুল সেতুর উপর। পর্যাপ্ত দখিনা হাওয়া প্রাপ্তি এর মূল কারন। আছে পর্যাপ্ত পুলিশী নিরাপত্তা, সাথে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা।
প্রকৌশলীদের নান্দনিক শৈল্পিক সৃষ্টির অনন্য নিদর্শন এই ত্রিমুখী ব্রীজ। বর্তমানে ৩ উপজেলার বাসিন্দাদের এখন শান্তির ঠিকানা হয়েছে। সকাল-বিকাল ৩ উপজেলার লোকজন ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি করে সেখানে ভীড় করছে সব বয়সী মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিজস্ব নকশা ও অর্থায়নে ১ শত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘ত্রিমুখী’ ব্রীজ বা ইংরেজী ওয়াই আকৃতির বিধায় এর নাম করন করা হয়েছে ওয়াই ব্রীজ। ব্রীজটির কাজ মোটামুটি শেষ।
যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রী ওয়াইসেতু উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানান এলজিইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফজলে রাব্বি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
ব্রীজটির একটি মোহনা গিয়েছে মুরাদনগর, একটি বাঞ্ছারামপুরে ও অন্যটি হোমনায়। ফলে অনায়াসে লোকজন গাড়ি করে কম সময়ে যেতে পারছেন এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায়।