গেইল সাজঘরে, চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক।। ব্যাটসম্যানরা এনে দিয়েছেন লড়াকু পুঁজি। তা পুঁজি করে লড়ছেন বোলার-ফিল্ডাররা। প্রথম দুই উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি-রুবেল। এবার ক্রিস গেইলকে রানআউট করলেন ফিল্ডাররা। যৌথ প্রচেষ্টায় ক্যারিবীয় দানবকে ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদুল্লাহ- মোসাদ্দেক। শেষ খবর পর্যন্ত ২২ ওভার শেষে ৮৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিমরন হেতমায়ার ২১ ও জেসন মোহামেদ ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
২৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মন্থর শুরু করেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। হাত খুলতে গিয়েই ধরা খান লুইস। দলীয় ২৭ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। এ মারকাটারি ব্যাটসম্যানকে ফেরান বাংলাদেশ কাপ্তান মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে শাহ হোপও স্থায়ী হতে পারেননি। তাকে শিকার বানান রুবেল।
এর আগে গায়নার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট নেন মাশরাফি। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দলীয় ১ রানে ফেরেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এনামুল হক। পরে সাকিবকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠেন তামিম। এক পর্যায়ে গড়ে তোলেন তীব্র প্রতিরোধ। তাদের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশও। তারাও এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে।
তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ৩ রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন সাকিব। ৬ চারে ৯৭ রান করে ফেরার আগে তামিমের সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। দুজনে এনে দেন ২০৭ রান। এর আগে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকের। ২০১০ সালে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬০ রান করেন তারা। সাকিব সেঞ্চুরি না পেলেও শতক হাঁকান তামিম। ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এ পথে বল খেলেন ১৬০টি। ১০ চারের বিপরীতে ছক্কা হাঁকান ৩টি। এটি বাংলাদেশের হয়ে মন্থর সেঞ্চুরির রেকর্ড।
৪৫ ওভারের পর হাতে উইকেট থেকেও রান আসছিল না। ফলে আড়াইশ পার হবে কি না সন্দেহের মেঘ ঘণীভূত হয়। তবে তা দূর করেন মুশফিক। শেষদিকে মাত্র ১১ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এতে ৪ উইকেটে ২৭৯ রানের ফাইটিং স্কোর পায় বাংলাদেশ। সেই পথে হয়েছে দলীয় রেকর্ড। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এটিই টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দেবেন্দ্র বিশু নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট