তারা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহসহ সংস্থার আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন বলে দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম জানিয়েছেন।
অনুসন্ধান কমিটির তদারক কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে এই দলে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান দুদকের উপ পরিচালক শামসুল আলম ও দুই সদস্য সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন এবং সহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কাজী শফিকুল বলেন, “বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে দুর্নীতি বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমরা তাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব নথিপত্র আমাদেরকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।”
নির্ধারিত সময় ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করবেন বলে কাজী শফিকুল জানান।
দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, “কয়লা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নথিপত্র তলব করা হয়েছে। এই অনুসন্ধান যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয় সেই বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
বড়পুকুরিয়া খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড় পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে।
এদিকে কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন রোববার রাতে বন্ধ হয়ে গেছে।
৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়ায় বিকল্প পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।