ছবিটি কোনো শর্টফ্লিমের নয়, ন্যাচারাল : জীবন আহমেদ
সম্প্রতি ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদের বৃষ্টিতে ভেজা এক তরুণ-তরুণীর ভাইরাল হওয়া ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য গণমাধ্যমগুলোতে এমনকি তরুণদের কাছে অত্যন্ত আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখন বিষয়টি মানুষ কিভাবে নিচ্ছে এটাই মূখ্য বিষয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে দেখা যায়, বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীরাই ছবিটি ভালোবাসার প্রতিফলন হিসেবে দেখছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টিএসসি চত্ত্বরে ভাইরাল হওয়া ছবিটি ব্যাপারে মানুষের মাঝে তেমন একটা প্রতিক্রিয়া নেই। বোঝা যায় বিষয়টি মানুষ খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। তেমন খারাপ ভাবে দেখছে না। বরং তারা বলছে এটা ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ ।
টিএসসি চত্ত্বরের সামনের চায়ের দোকানের মালিক মুকতার জানায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটা আমি দেখেছি এবং শুনেছি। এটা তাদের একান্ত ব্যাপার । তাদের মন চাইছে করছে। এটাতো আর এমন হয়নি যে জোর পূর্বক ছেলেটি মেয়েটিকে চুম্বন করেছে।
চা দোকানের মালিক দুলাল জানায়, তারা কখন চুম্বন করেছে আমি দেখি নাই। তারা দুজন বৃষ্টিতে ভিজছিল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এসম্পর্কে আমি আর কিছু জানি না। শুনালাম চুম্বনের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।
শিপন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এটা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। ছবিটি খারাপ ভাবে দেখার কিছু নাই।
পূর্ব-পশ্চিম নামের একটি অনলাইন পোর্টালের ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের দুজনকে দেখেছি চায়ের দোকানের সামনে বসে থাকতে । প্রায় ২০ মিনিট যাবত তারা বৃষ্টিতে ভিজছিল। এর মধ্যে তারা বেশ কয়েক বার একে অপরকে চুম্বন করেছে। সেটা দেখেই আমি একটা ক্লিক করলাম।
ছবিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা বিশুদ্ধ এবং প্রকাশ্যই হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি’।
তিনি বলেন, আমার আগে বেশ কিছু আলোচিত ছবি ভাইরাল হয়েছে। অন্যতম কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকের সামনে আঙ্গুল নাচিয়ে হুমকি দেওয়ার ছবি, অভিজিৎ রায়ের রক্তাক্ত ছবি। তবে এই ছবিটি যে এতো ভাইরাল হবে বুঝি নাই।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে কে বা কারা বলেছে ছবিটি কোনো একাট শর্টফ্লিমের। এ কখাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা পুরোপুরি ন্যাচেরাল ছবি।