ভল্টের সোনা হেরফেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটি
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনায় হেরফেরের ঘটনায় ছয় সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কমিটিকে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ছয় সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ এন এম আবুল কাসেমকে। জানা গেছে, কমিটির বাকি পাঁচ সদস্য হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার জন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও একজন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)।
কমিটির বাকি সদস্যদের পরিচয় প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, কমিটিতে বাকি কোন পাঁচ জন আছেন, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে তারা নির্বাহী পরিচালকের নিচের পদের কর্মকর্তা হবেন।
সূত্র জানায়, সোমবার (২৩ জুলাই) কমিটি গঠন করার পর মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) থেকে কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটিকে সোনা জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি ভল্টে সোনা রাখার আরও অধুনিক পদ্ধতি কী হতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আর ছয় সদস্যের কমিটি হলেও প্রয়োজনে যেকোনো বিশেষজ্ঞকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভূতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখার পর মিশ্র বা সংকর ধাতু হয়ে যায়। এ ছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে।
সংবাদ প্রকাশের পর ওইদিন বিকেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এর ব্যাখা দেয়। ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে ‘সোনা কারসাজি’র ঘটনাকে ‘ক্ল্যারিক্যাল মিসটেকে ভুল প্রতিবেদন’ বলে দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোনার পরিমাণ ৪০ শতাংশ থাকলেও তাকে ইংরেজি ভাষার ‘৮০’ মনে করে কেরানির ভুলে ৮০ শতাংশ বলে উল্লেখ করায় এই হেরফের ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভল্টের নিরাপত্তায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। জাতীয়ভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সোনার গুণগত মান নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন উঠেছে।