কয়লার অভাবে বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
দিনাজপুর প্রতিনিধি: কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মো. মাহবুবুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি) কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের পর এখন বিকল্প ব্যবস্থা না হলে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আট জেলায়।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া যেত ৫২৫ মেগওয়াট। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ ঘাটতি বাড়বে। এতে বিদ্যুৎ ভোল্টেজ কম এবং লোডশেডিং হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ এর সাবেক এমডি (প্রত্যাহার) প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান গত ৭ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন- বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনির ২০১০ নং ফেজে মধ্য জুনে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় ১৩১৪ নং নতুন ফেজে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে।
আগামী আগস্ট মাসের শেষ পর্যায়ে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু সম্ভব হবে না।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় খনির শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, খনির মাইনিং বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত জিএম এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম মো. খাদেমুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এমডি প্রকৌশলী মো. হাবিব উদ্দিন আহমেদ ও সচিব (জিএম প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
খনির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্যে অবহেলার কারণে এবং কয়লা খনির উৎপাদিত কয়লা মজুদ না রেখে বিক্রি করে দেয়ায় পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ এ শাস্তি দেয়।