ক্রসফায়ারে ভীত নই, সাক্ষাৎকারে বদি
দেশজুড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরদার অভিযানের কারণে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় নাম রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য ও তার স্বজনদের। মাদক ইস্যুতে বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জোরালো হচ্ছে।এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার আবদুর রহমান বদি জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি আমাদের সময়কে বলেছেন, ‘আমি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নই। যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমিও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আমি তো বলি ক্রসফায়ার আরও দুই বছর আগে শুরু করা উচিত ছিল।’ মুঠোফোনে বদি বলেন, ‘মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টা সম্পূর্ণ মিডিয়ার সৃষ্টি। আমি
তো সংসদে সব বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছি। মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছি, আমি জড়িত থাকলে, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমার কোনো কথোপকথন, ছবি বা কোনো তথ্য-প্রমাণাদি থাকলে দেখান। কই কেউ তো কোনো প্রমাণ দেখাইতে পারেনি।’মাদক ব্যবসায় পরিবারের আরও সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের যাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে, সেগুলো নামে নাম মিলে যাওয়ার কারণে হয়েছে। যেমন ধরেন, আমার ভাইয়ের নাম শফিক, আবদুল আমিন; আমার বোনের নাম শামসুন্নাহার। এখন মাদক ব্যবসা করে শামসুন্নাহার নামের আরেকজন আর নাম হয় আমার বোনের। শফিক, আবদুল আমিনের বেলায়ও এই অবস্থা হয়েছে।’আপনি জড়িত না থাকলে আলোচনার শীর্ষে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটা মিডিয়ার দ্বন্দ্ব চলছিল, তাই তারা আমাকেই বারবার কালার করেছে।’বন্দুকযুদ্ধে প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ীদের নিহতের ঘটনায় আপনার প্রতিক্রিয়া কী, আপনি এ নিয়ে চিন্তিত কিনা? জবাবে বদি বলেন, ‘আমি চিন্তা করব কেন, আমি ভয় পাব কেন, আমি এসবে জড়িত নয়। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আমি এই অভিযান ও ক্রসফায়ারকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। আমরাও সঙ্গে আছি মাদক নির্মূলের এই অভিযানে। মাদক ব্যবসায়ীতে ভরে গেছে দেশ। এখন অভিযান শুরু হয়েছে, এটা ভালো। আমি বলব, আমি ক্রসফায়ারের পক্ষে। আমি তো বলি ক্রসফায়ার আরও দুই বছর আগে শুরু হওয়া দরকার ছিল।’